স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গায় বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জেএসসি পরীক্ষার বোর্ড নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি’র টাকা ৫-৬ গুণ বেশি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অনেক বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ কয়েক গুণ অতিরিক্ত টাকা আদায় করলেও তার রসিদ দেয়া হচ্ছে না। অভিভাবকদের অসচেতনতার সুযোগে বেশ কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহজেই এ ঘটনা ঘটাচ্ছে।
জানা গেছে, জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে শিক্ষার্থী প্রতি ৬০ টাকা করে। বোর্ড নিবন্ধন ফিস ব্যাংকে টিটি করার শেষ তারিখ আগামী ২০ এপ্রিল। কিন্তু বোর্ডের এ নির্দেশ উপেক্ষা করেই আলমডাঙ্গার অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রেশন ফি আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বোর্ড নির্ধারিত ৬০ টাকার স্থলে ৫-৬ গুণ অতিরিক্ত টাকা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অনেক বিদ্যালয় ভর্তির প্রথমেই সরকারিভাবে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার সময়ই এ অতিরিক্ত রেজিস্ট্রেশন ফি আদায় করে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত এ সকল বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশনের নামে আদায়কৃত অতিরিক্ত এ টাকার রসিদ দেয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত বিদ্যালয়গুলির এ হেন কর্মকাণ্ডকে অনেক শিক্ষকই অশ্রদ্ধার চোখে দেখছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলমডাঙ্গার বেশ পরিচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন- নিজ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কয়েকগুণ অতিরিক্ত টাকা আদায় করার ঘটনা স্পষ্টত নৈতিকতা বিরোধী। তাছাড়া টাকা নিয়ে রসিদ না দেয়া আইনসঙ্গতও নয়। এটা এক ধরনের চাঁদা আদায়ের সামিল। এ অতিরিক্ত টাকা বিদ্যালয়ের জন্য ব্যয় করা হয় না। বরং অবৈধভাবে আদায়কৃত এ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির ভেতর দ্বন্দ্ব বাঁধে। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব যাদের, তাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরনের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।