আন্দুলবড়িয়ার আলোচিত বাড়ি থেকে নারী-পুরুষকে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা : মুচলেকায় মুক্তি

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: ভরদুপুরে ভুয়া স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার আলোচিত বাড়িতে অবস্থানকালে স্থানীয় জনতা দুজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জীবননগরের আন্দুরবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার আলোচিত মাদকব্যবসায়ী বুড়ি বাবলুর বাড়ি থেকে জনতা তাদের আটক করে।

কয়েক বছরে র‌্যাব-পুলিশ ও মাদক অধিদপ্তর কয়েকবার অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও হেরোইন উদ্ধার দেখিয়ে বুড়ি বাবলুকে আদালতে সোপর্দ করে। এরপরও থামেনি তার মাদকব্যবসা। স্থানীয়রা এ অভিযোগ করে বলেছে, চুয়াডাঙ্গা ভেমরুল্লা গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে রমজান আলী (৪০) আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, গত কয়েক দিন পূর্বে মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে ৩০ বছর বয়সের এক রমনীকে সাথে নিয়ে ম্যানেজার রমজান ভাইয়ের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বুড়ি বাবলুর বাড়িতে রাখে। নারীর আচরণ ও কথাবার্তায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। স্থানীয়রা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, গতকাল শনিবার সকালে সন্দেহজনক নারীর বুড়ি বাবলুর বাড়িতে আগমন ঘটলে জনতা বাড়ির পাশে ঘুরঘুর করতে থাকে। ম্যানেজার রমজান আলী বাড়িতে প্রবেশ করলে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। খবর দেয়া হয় পুলিশে। স্থানীয় শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই অলিয়ার রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ৩ সন্তানের জননী নিজেকে পরিচয় দিতে গিয়ে বলছেন, নাম সখি খাতুন। বয়স ৩০ বছর। পিতার নাম ও গ্রাম নিয়ে বিভ্রান্ত তথ্য দেয়। পিতার নাম বলতে গিয়ে বলেছেন লিয়াকত আলী পরে ইলিয়াছ আলী, গ্রাম প্রথমে চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর বললেও পরে বলে মোক্তারপুর। এ সময় উত্তেজনা ও তুমুল হইচই দেখা দিলে স্থানীয় জনতা তাদের দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার ওসি হুমুয়ান কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুজনকে মুচলেকা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।