ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কালবোশেখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কয়েকটি গ্রামের বহু ঘর বাড়ি লণ্ডভণ্ড ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গত ৪ দিন পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের দ্বারে ত্রাণ-সামগ্রী না পৌছানোয় ভুক্তভোগী শ শ পরিবার মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সরকার বলেন, বরাদ্দ কম থাকায় ইউনিয়ন প্রতি এক মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ঢেউটিন ও বাড়ি মেরামতের জন্য নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার সারুটিয়া, দিগনগর, কাঁচেরকোল, হাকিমপুরসহ পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে গত সোমবার ভোররাতে কালবোশেখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আঘাত হানে। ঝড়ে সারুটিয়া পুরাতন বাখরবা, চরবাখরবা, বৃহ্মপুর, ছোট মৌকুড়ী, বড়মৌকুড়ি, চরমৌকুড়ী, নবগ্রাম, গোয়ালবাড়িয়া, কির্ত্তীনগর, ভুলুন্দিয়া, ভাটবাড়িয়া, গোসাইডাঙ্গা, কৃষ্ণনগর, বড়ুরিয়া, নাদপাড়া কাঁচেরকোল ইউনিয়নের খন্দকবাড়িয়া, কাঁচেরকোল, মির্জাপুর, জাঙ্গালিয়া, ধুলিয়াপাড়া, কচুয়া, দিগনগর ইউনিয়নের সিদ্ধি, হাকিমপুর ইউনিয়নের দোহারো, হাকিমপুর অনন্তবাদালশো, চরআউশিয়া, বাজারপাড়া, চতুড়া, বালিয়াডাঙ্গা, সাতগাছি, হাজামপাড়া, কাজীপাড়া, মালিপাড়া, কোর্টপাড়া, ফাজিলপুর, সরকারপাড়া, মজুমদারপাড়া, নগরপাড়া, কবিরপুর, হাবিবপুর গ্রামে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এসব এলাকায় কালবোশেখির ভয়াল ছোবল ও প্রচণ্ড শিলা পড়ায় বাড়িঘর, গাছপালা, বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্নসহ মাঠের উঠতি যাবতীয় ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। চরমৌকুড়ি গ্রামে সাদেক আলীর পোল্ট্রিফার্মে অন্তত ৪ হাজার মুরগি মারা যায়, দেয়াল ও ছাউনি উড়ে গেছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে কাতলাগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাকাইসিদ্ধি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঁচেরকোল কলেজ, কচুয়ার শিশুকুঞ্জ কিন্ডার গার্টেন ও মৌবন নূরানি হাফেজিয়া মাদরাসা অন্যতম। ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকায় খোলা আকাশের নিচে কোনো হালে দিন কাটাচ্ছে বহু মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সরকার বলেন, পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় ত্রাণের একটু সমস্যা হয়েছে তবে, দু-এক দিনের মধ্যেই দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে যাবে। অপরদিকে পৌর এলাকা ও হাকিমপুর ইউনিয়নে কিছু কিছু পরিবারে নগদ অর্থ ও টিন বিতরণ করা হয়েছে। অনেক পরিবার তারা খোলা আকাশের নিচেয় দিন কাটাচ্ছে। পড়ে যাওয়া ঘর নতুন করে মেরামত করবে এমন সামর্থ্য তাদের নেই।