কালবোশেখি : ভোলা পাবনা নোয়াখালী যশোরে নিহত ৪

স্টাফ রিপোর্টার: কালবোশেখির সময় গাছচাপায় ভোলার লালমোহনে জেলে ও যশোরের মনিরামপুরে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নোয়াখালী সদরে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে মারা গেছে স্কুলছাত্র। এছাড়া ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে থাকছে হাজারো মানুষ। পাবনার বেড়ায় নিহত হয়েছেন একজন। এদিকে গতপরশু বৃষ্টির পর চুয়াডাঙ্গার বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দেয়। ত্রুটি মেরামত করে বিদ্যুত সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্টদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।

ভোলার লালমোহন উপজেলার বগিরচর গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে শফিজল ইসলাম নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। কালবোশেখির সময় গরু বাঁধতে ঘর থেকে বের হলে তিনি গাছের নিচে চাপা পড়েন। এতে তার মৃত্যু হয়। তিনি একই গ্রামের চৌকিদার আ. আলীর ছেলে।

নোয়াখালী সদর ও হাতিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় গত মঙ্গলবার রাতে কালবোশেখির তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে যায় গাছপালা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ফসলের। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। গতকাল সকালে সদর উপজেলার গোপাই গ্রামে বিদ্যুতের ছেঁড়া তার জড়িয়ে অসীম কুমার নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে একই গ্রামের সঞ্জয় দেবনাথের ছেলে ও বিনোদপুর স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

যশোর মনিরামপুর উপজেলার খুঁজালিপুর গ্রামে কালবোশেখির সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাছের নিচে চাপা পড়ে জামিলা খাতুন নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর স্ত্রী। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গাছের চাপায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে।

উপজেলার নাগোরঘোপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হেলাঞ্চি-কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ঝাঁপা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, শ্যামকুড় দাখিল মাদরাসাসহ অন্তত ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।

পাবনার বেড়া পৌর এলাকার বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লার কাজোল কড়ি বিলের কাছে গত মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টির সময় শিলের আঘাতে ও ঠাণ্ডায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইউসুব আলী নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

নওগাঁয় গত শনিবার সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া কালবোশেখির কারণে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত তিন দিনেও বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা গাছপালা, টিন ও বাঁশ অপসারণের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেকেই। শহরে বিদ্যুত সরবরাহ শুরু হলেও গ্রামীণ জনপদ এখনো অন্ধকারে ডুবে আছে।