শঙ্করচন্দ্র বেগনগর মানিকদিহি পাড়ার রশিদের আকুতি

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: বাবা বয়স আর কতো হলে বয়স্ক ভাতা’র কার্ড পাওয়া যাবে? এ কথা বললেন চুয়াডাঙ্গা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের বেগনগর মানিকদিহিপাড়ার মৃত ইসরাফ আলীর ছেলে আ. রশিদ (৭০)। এ সময় তিনি বলেন, পরের দেড় শতক জমিতে মাটির দেয়াল ওপরে টিনের ছাপড়া দিয়ে বসবাস করি। দু-তিন বছর আগে ঘরের সামনে দেয়ালটি ভেঙে যাওয়ায় চাটায় ও কুনচির বেড়া দিয়ে কোনোরকমে থাকি। সংসারে ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে সকলেই তাদের মতো পৃথক থাকে। সংসারে এক অবিবাহিত মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকেন আব্দুর রশিদ। সংসারে কোনো কর্মক্ষম মানুষ না থাকায় অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়িতে দর্জির কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালায়। আশপাশে অনেকের বয়স্ক ভাতা’র কার্ড হলে তার ভাগ্যে জোটেনি কোনো কার্ড। এ ব্যাপারে পাড়ার লোকজন জানায়, আমরা প্রায় ৩০-৩৫ ঘর মানুষ বসবাস করি শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের শেষ সীমানায় ও পদ্মবিলা ইউনিয়নের নিকটে হওয়ায় আমরা সবদিক থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি। ভোটের সময় এসে একটু চকলেট ও বিড়ি দিয়ে যায়। তারপর আর কেউই খোঁজ রাখে না। আমরা সিটমহলের মতো বসবাস করি। এ সময় আব্দুর রশিদকে বয়স্ক ভাতা’র কার্ড দেয়ার জন্য পাড়ার লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ ব্যাপারে শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আ. রহমান জানান, গত বছর অনেকেরই কার্ড করা হয়েছে। এক সাথে সবার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। আগামীতে সুযোগ এলে ব্যবস্থা করা হবে।