প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আলমডাঙ্গার ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিসরুমে তালা : উত্তেজনা প্রশমনে পুলিশ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিসরুমে তালা লাগিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে উত্তেজনা প্রশমনে শেষ পর্যন্ত পুলিশও হাজির হয়। নাজির হোসেন নামের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল এ ঘটনা ঘটায়। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের মোটা অঙ্কের টাকা ম্যানেজিং কমিটির দু সদস্যকে সাথে নিয়ে ভাগাভাগির অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে তালা ঝুলোনোর ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ইতঃপূর্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সে নিয়োগের মোটা অঙ্কের টাকা প্রধান শিক্ষক আব্দুল গনির নিকট ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জমা রাখে। অভিযোগ তোলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক গোপনে সে টাকা ম্যানেজিং কমিটির দু সদস্যকে সাথে নিয়ে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বেশ কিছু দিন এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরোধ চলে আসছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রাগপুরের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাজির হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ তালাবদ্ধ করেন। বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের স্থানীয় মানুষ ছুটে যান বিদ্যালয়ে। তাদের হস্তক্ষেপে নাজির হোসেন তালার চাবি স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এএসআই দরবেশের নিকট জমা দেন। এএস আই দরবেশ তালা খুলে দিলে সেখানে গ্রামবাসীর উদ্যোগে সালিস বসে। সালিসে প্রধান শিক্ষক ১ সপ্তার মধ্যে সে অর্থ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলফোন খোলা পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদ্যালয়ে তালা মারার বিষয়টি জানেন না বলে উল্লেখ করেন। টাকা নিয়ে নিয়োগের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান। অন্য কোনো টাকা নিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এএসআই দরবেশ বলেন, আমি শুনেছি নিয়োগের টাকা প্রধান শিক্ষকের নিকট ছিলো। তিনি ম্যানেজিং কমিটির ৩ সদস্যের সাথে তা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বাকি দু সদস্যকে দেননি। এ ব্যাপারে কয়েক দিন ধরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাজির প্রধান শিক্ষককে বললেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। সে কারণে নাজির স্কুলে তালা লাগানোর ঘটনা ঘটান। বিষয়টি আমাকে জানানো হলে আমি চাবি ফেরত দিতে চাপ সৃষ্টি করলে নাজির লোক মারফত চাবি আমার হাতে ফেরত দেন।