গলায় ধরালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম সিংনগরের মোমিন

রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর প্রথমে ঘটনা আড়ালের অপচেষ্টা : পরে অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর সিংনগরের মোমিনকে রক্তাক্ত গুরুতর জখম অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের পোঁচে গুরুতর জখম করা হয়। কে বা কারা কেন গলায় পোঁচ মেরেছে? এ প্রশ্নের জবাব জানতে গেলে রহস্য দানা বাঁধে। জখম ব্যক্তি কথা বলতে পারেনি।

জানা গেছে, সিংনগরের মেহের আলীর ছেলে মোমিনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় গতরাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গলার পাশে জবাই করার মতো অবস্থা দেখে চমকে ওঠেন সকলে। তার পাশে থাকা লোকজন প্রথমে আহত হওয়ার কারণ আড়াল করতে বটির ওপর পড়ে জখম হওয়ার কথা জানায়। পরে অবশ্য তারই ছোট ভাই ফারুক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে, সন্ধ্যায় নিজেদের বাড়িতেই ছিলো। বিদ্যুতের কাজ করছিলো। এ সময় গ্রামেরই মাহাবুল নামের একজন ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শুনি তাকে ডেকে নিয়ে গ্রামের শেষ প্রান্তে তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পোঁচ মারা হয়েছে। তার স্ত্রী অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে শুধু নির্বাক দাড়িয়ে থেকেছেন।

কে বা কারা কেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এ অবস্থা করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। আড়ালে নারীঘটিত ঘটনা নাকি অন্য কিছু তাও রহস্যবৃত। মোমিনের গলায় কমপক্ষে ৩৯টি সেলাই দিতে হয়েছে। সেলাই দেয়ার দৃশ্য দেখে তার সাথে থাকা একই গ্রামের মামুন অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। তাকেও কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। সে সিংনগরের ফজলুর রহমানের ছেলে। সে মোমিনের প্রতিবেশী।