দামুড়হুদায় দাখিল পরীক্ষা চলাকালে নকলে সহযোগিতার অপরাধে কক্ষ পরিদর্শক ও দপ্তরির জরিমানা

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় দাখিল পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের নকল করার সহযোগিতার অপরাধে আশাদুল হক (৪৫) নামের এক মাদরাসা শিক্ষক ও মুনছুর আলী (৫০) নামের ওই মাদরাসার দপ্তরিকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল (উচ্চতর গণিত) পরীক্ষা চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান এবং পরীক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই আদেশ দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল (উচ্চতর গণিত) পরীক্ষা শুরু হয়। দর্শনা ফাজিল মাদরাসার ১৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিলো। বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান এবং পরীক্ষার্থীদের সিট পরিবর্তন করে নকল করতে দেখেন। তিনি বিষয়টি ওই কক্ষে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শক দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আশাদুল হকের নিকট জানতে চাইলে কক্ষ পরিদর্শক জানান, দপ্তরি মুনছুর আলীর সহযোগিতায় পরীক্ষার্থীরা নকল করছিলো। আমি নিষেধ করেছিলাম। পরে হলসুপার কুনিয়া চাঁদপুর মাদরাসার সুপার শামসুল হক ও কেন্দ্র পরিদর্শক দর্শনা ফাজিল মাদরাসার সুপার মীর জীন্নাত আলীর উপস্থিতিতে বিষয়টি বিস্তারিত শুনে নকলে সহযোগিতার অপরাধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০’র ১২ ধারায় ওই কক্ষ পরিদর্শক ও দপ্তরির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। জরিমানার টাকা নগদে পরিশোধ করলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিএ ফয়জুল ইসলাম ও দামুড়হুদা মডেল থানার এএসআই আব্দুল হাই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজে সহযোগিতা করেন। উল্লেখ্য, গতকাল ছিলো দাখিলের শেষ পরীক্ষা।