মিন্টুকে নিয়ে জটিলতা : প্রার্থী সমর্থনে আরও সময় নেবে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা (উত্তর-দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থন দিতে আরও কিছুটা সময় নিচ্ছে বিএনপি। উত্তর সিটিতে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রার্থীতা চেয়ে আব্দুল আউয়াল মিন্টুর আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দলটি। একই সাথে বিকল্প হিসেবে কাকে সমর্থন দেয়া হলে নির্বাচনের ফল ইতিবাচক হবে তা নিয়েও করা হচ্ছে নানামুখী হিসাব-নিকাশ। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মিন্টু পুত্র তাবিথ আউয়াল ও মাহী বি. চৌধুরী।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরই ঢাকায় দু প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিলো। কিন্তু মিন্টুর প্রার্থিতা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় তা বিলম্ব হচ্ছে। বুধবার নির্বাচন কমিশন মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন তিনি। এ বিষয়টি নিষ্পত্তির পরই দু সিটিতে প্রার্থী সমর্থন দেবে দলটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসকে সমর্থন দিতে পারে বিএনপি। আব্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৩৭টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। অন্য একটি মামলায় শুনানি রয়েছে ভোটগ্রহণের আগের দিন। এসব মাথায় রেখেই সমর্থনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। গত বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু এ শঙ্কার কথা জানান। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নির্বাচনে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও লুটেরাদের অবাধ বিচরণের সুযোগ দিচ্ছে। সরকারের মন্ত্রী, এমপিরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। অথচ নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে উদাসীনতা দেখাচ্ছে।

২০ দল সূত্রে জানা গেছে, আইনি লড়াইয়ে মিন্টু হারলে তাবিথ আউয়াল ও মাহী বি চৌধুরীই থাকবেন আলোচনায়। কারণ তাবিথ আউয়াল রাজনীতির মাঠে একেবারেই নতুন। বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের কাছে তিনি ততো পরিচিত নন। অন্যদিকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মাহী বি চৌধুরীর পরিচিতি বেশি। বিএনপির একটি অংশ চাচ্ছেন মাহীকে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে তার পিতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে নতুন করে আলোচনা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধন্তে যায়নি দলটি।