শরিয়তপুরে প্রেমের ফাঁদে মেহেরপুরের অষ্টাদশী

প্রাইভেটে পালানোর সময় চুয়াডাঙ্গায় পাকড়াও : প্রেমিক শ্রীঘরে
স্টাফ রিপোর্টার: মোবাইলে পরিচয়। তারপর প্রেম। প্রেমের ফাঁদে মেহেরপুরের এক অষ্টাদশীকে নিয়ে শরিয়তপুর পাড়ি জমানোর পথে চুয়াডাঙ্গায় পাকড়াও হয়েছে এক বখাটে। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের বঙ্গজের অদূরবর্তী স্থান থেকে প্রাইভেটকার থেকে দুজনকেই আটক করে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সুমন। পরে অবশ্য মেহেরপুর হোটেলবাজারপাড়ার কলেজছাত্রীকে তার অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বন্দী বহিরাগত যুবক নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, নাম বিল্লাল হোসেন। পিতার নাম আবুল হোসেন। বাড়ি শরিয়তপুরের সখিপুর থানার চরবাগাণ্ডকান্দি। পেশা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সে একেক সময় একেক রকম তথ্য দিয়ে বলেছে, মোবাইলফোনে বন্যার সাথে পরিচয় হয়। মাঝে মাঝে মেহেরপুরে এসে ওর সাথে দেখাও করি। দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করার জন্যই এসেছি। চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রাইভেটকার ভাড়া করে মেহেরপুরে গিয়ে সকাল ১০টার দিকে দুজন একত্রিত হই। এরপর মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হলে পুলিশ আমাদের আটক করে। বন্যাকে ছেড়ে দিলে পুলিশ আমাকে কেন ধরে রাখবে? এ প্রশ্ন তুলে বিল্লাল কৌশলে মুক্তি পেতে চাইলেও পুলিশ বলেছে, ওর সম্পর্কে তথ্য নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। তার আগেই যদি ওর অভিভাবক আসে এবং পুলিশ ভালো রিপোর্ট দেয় তাহলে বিষয়টি অন্যভাবেও ভেবে দেখা হবে।