মাথাভাঙ্গা মনিটর: লাল ঝাণ্ডা নামিয়ে শাদা পতাকাই ওড়াচ্ছে কোলকাতা নাইট রাইডার্স। এর আগে আইপিএল বয়কটের খবর এলেও এখন শোনা যাচ্ছে, সমঝোতা দিয়েই সমাধান টানতে চায় কেকেআর। যতো দ্রুত সম্ভব ভারতে ডেকে এনে সুনীল নারাইনকে অ্যাকশনের পরীক্ষা করিয়ে নিতে চায়। নারাইনকে ভারতে ওড়ে আসার জন্য ‘অ্যাসাপ’ বার্তা পাঠানোও হয়েছে। অ্যাকশনের বায়োমেকানিক পরীক্ষাটা সেখানেই হবে, চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটাই আইসিসির নতুন তিন বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নারাইনের অ্যাকশন পরীক্ষা এড়ানোর জন্য কেকেআর প্রথমে সর্বশক্তিই নিয়োগ করেছিলো। তাদের পক্ষে যুক্তিও আছে। নারাইন তো অ্যাকশন শোধরানোর পর একবার পরীক্ষা দিয়ে সবুজ সংকেত পেয়েছেনই। আইসিসিও ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) লাফবরোর সেই পরীক্ষাগারের ফল গ্রহণ করতে নারাজ। এ পরীক্ষার উদ্যোগ নারাইন নিজেই নিয়েছেন, আইসিসি নয়। আর নারাইনের অ্যাকশন যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলো, আইসিসিও পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়নি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের আয়োজক আইপিএলের পরিচালক কমিটিই। মতান্তরে বিসিসিআই। ফলে বিসিসিআইয়ের টুর্নামেন্টে এখনো নিষিদ্ধই থাকছেন নারাইন। ছাড়পত্র পেতে চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দিতেই হবে। কিন্তু কেকেআরের অভিযোগ, কোলকাতাকে দুবার চ্যাম্পিয়ন বানানোর মূল কারিগরকে কোণঠাসা করতে এসব করা হচ্ছে। এ কারণেই প্রথমে ছিলো বিদ্রোহের সুর। কিন্তু সময়ও তো থেমে নেই। ৮ এপ্রিল উদ্বোধনী দিনেই কেকেআরের ম্যাচ। খেলোয়াড় তালিকা জমা দিতে হবে তারও আগে। দ্রুত তাই পরীক্ষাটা করিয়ে নিতে চায় কেকেআর। কিন্তু সমস্যা হলো, যদি সেই পরীক্ষায় নারাইন পাস না করেন?