চিহ্নিত তিন মাদক বিক্রেতা পাকড়াও : মদ হেরোইন ইয়াবা উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদকবিরোধী পৃথক তিনটি অভিযান

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিবি মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। গতকাল দুপুর থেকে গতরাত ১১টা পর্যন্ত পৃথক স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে মামলাসহ সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। তিনজনকেই আজ বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

আটককৃতদের মধ্যে দৌলাতদিয়াড় চুনুরিপাড়ার চিহ্নিত মাদককারবারী আশাদুল হক মিন্টুর নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮ অ্যাম্পুল ঘুমের ইনজেকশন ও ১৩৫ গ্রাম মারণনেশা হেরোইন। চুয়াডাঙ্গা পোস্টঅফিসপাড়ার দীর্ঘদিনের মদ বিক্রেতা গোলাম রসুলের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬ লিটার কেরুজ বাংলা মদ। কেদারগঞ্জ ফিরোজ রোডপাড়ার ফারুক হোসেনের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ পিস ইয়াবা।

ডিবি পুলিশ বলেছে, গতরাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেদারগঞ্জ ফিরোজরোডপাড়ার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ফারুক হোসেনকে ১১ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। সে এলাকায় ফেরি করে ইয়াবা বিক্রি করে। গতরাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সিনেমাহলপাড়ার কাঠগোলার সামনে অভিযান চালিয়ে গোলাম রসুলকে (৫০) ৬ লিটার বাংলা মদসহ আটক করা হয়। সে মৃত সন্তোষ কুমারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে পোস্টঅফিসপাড়ায় বসবাসের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে মদ বিক্রি করে। পুলিশ এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, মদসহ আটকের পর সদর থানায় মামলাসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মাদকবিরোধী অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিবির এসআই ইব্রাহিম ও এএসআই রফিকুল ইসলাম। একই অফিসাররা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার মাথাভাঙ্গা ব্রিজের ওপর থেকে চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা আশাদুল হক মিন্টুকে আটক করে। তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮ অ্যাম্পুল ঘুমের ইনজেকশন ও ১৩৫ গ্রাম মারণনেশা হেরোইন। তাকেও মামলাসহ সদর থানায় দেয়া হয়েছে। মিন্টু চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় চুনুরিপাড়ার মৃত রমজান আলীর ছেলে। তাকে মাদকসহ আটক করায় এলাকার সচেতনসমাজ ডিবি পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছে, মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পরিবেশটাই বসবাসের অনুপযোগী করে আসছিলো।