মেঘ গুঁড়গুঁড় শুনেই ভয়ে জবুথবু চুয়াডাঙ্গার বিদ্যুত : স্বাভাবিক হতে ৫ ঘণ্টা

বিতরণ কেন্দ্রের ফিডার সুইচে আগুনের পর বিকল : মেরামতের পর পর্যায়ক্রমে বিদ্যুত সরবাহ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আকাশে মেঘ জমতে না জমতেই চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুত উধাও। রাত ৮টার দিকে চলে যাওয়া বিদ্যুতের দেখা মেলে রাত পৌনে ১টার দিকে। তাও সকল ফিডারে একযোগে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। পর্যায়ক্রমে বিদ্যুত দিতে হয়েছে ফিডারগুলোতে। কেন? ওজোপাডিকো লিমিটেড চুয়াডাঙ্গার বিতরণ কেন্দ্রের ফিডার সুইচে আগুন। এ কথা শুনে অনেকেই বোকা বোকা কণ্ঠে প্রশ্ন তুলে বলেছে, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি নামলে বুঝি চুয়াডাঙ্গার বিদ্যুত বিতরণ কেন্দ্রের সুইচে আগুন ধরে?

গতকাল সোমবার বিকেল থেকেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা শুরু হয়। শাদা ও কালো বজ্রগর্ভ মেঘগুলো উড়ে ছুটতে থাকে উত্তরের দিকে। পূবালীর ছোয় সৃষ্ট ঘুর্ণবার্তায় অবশ্য তা ঘুরিয়ে বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। গুঁড় গুঁড় করে মেঘ ডাকা দেখে কেউ কেউ বলতে শুরু করেন, মাঝচৈত্র মেঘের ডাকাডাকিই বোধহয় সার। কিন্তু না। রাত ৮টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বিদ্যুত চলে যায়। অবস্থা দৃষ্টে বিদ্যুতের রশিক গ্রাহকদের অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, মেঘ গুঁড়িগুঁড়ির শব্দটা অনেকের পেট গুঁড়গুঁড়ির চেয়ে খুব একটা বেশি না হলেও চুয়াডাঙ্গার বিদ্যুত ভয় পেয়ে গুটিশুটি হয়ে ফিরে গেছে বিতরণ কেন্দ্রে।

বিদ্যুত বিতরণ কেন্দ্রের টেলিফোন অধিকাংশ সময় বিজি থাকে। অনেকেরই প্রশ্নমাখা অভিযোগ, বিদ্যুত বিভাগের অভিযোগ কেন্দ্রের ফোনটির রিসিভার তুলে রাখা না হলে দীর্ঘসময় ধরে বিজি টোন পাওয়া যাবে কেন? অবশ্য এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করা হয়। অভিযোগ কেন্দ্রে রাতে এক পর্যায়ে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানানো হয়, বিদ্যুত বিতরণ কেন্দ্রের ফিডারের সুইচে আগুন লেগে বিকল হয়ে গেছে। মেরামতের কাজ চলছে। কখন নাগাদ মেরামত শেষ হবে, কখন দেয়া হবে বিদ্যুত তা বলা যাচ্ছে না। অবশ্য রাত পৌনে ১২টার দিকে আশার বাণী শোনানো হয়। বলা হয়, মেরামতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ফিডারগুলোতে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুত সরবরাহ চালু করা হবে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাজরাহাটি ফিডারসহ বড়বাজার ও কলেজ ফিডারে বিদ্যুত সরাবহ শুরু হয়। দীর্ঘসময় ধরে অন্ধকারে হাবুডুবু খাওয়া চুয়াডাঙ্গা বিজলি বাতির ঝিলিক দেখে স্বস্তির শ্বাস ছাড়েন গ্রাহক সাধারণ।