স্টাফ রিপোর্টার: ছেলে পলাশের নানা অত্যাচার, অনাচার, নেশাজাতদ্রব্য গ্রহণ, নেশাজাত দ্রব্য বিক্রি, বাসা-বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পিতা-মাতাকে গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগে অতিষ্ঠ হয়ে চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার মানিক মিয়া নেশাখোর সন্তানকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
পলাশের পিতা-মাতা ও তার প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত পলাশ মাদকসেবন ও বিক্রি করে আসছিলো। একাধিকবার তাকে এ পথ পরিহার করার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও সে তা না করে পিতা-মাতাকে মারধর, গালিগালাজ, টাকা-পয়সা না দিলে বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরিবারের সকলকে অতিষ্ঠ করে তোলে। গতকাল সোমবার পলাশ নেশার টাকা না পেয়ে পিতা-মাতার গায়ে হাত তোলে। তাই বাধ্য হয়েই পিতা-মাতা পুলিশে খবর দেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের এসআই আব্দুল বারেক গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অভিযান চালিয়ে পলাশকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান পলাশের পিতা-মাতা, এলাকাবাসীর অভিযোগ ও নেশাজাত দ্রব্য সেবন ও বিক্রির অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৯০-১৯(১)৭(ক) ধারা মোতাবেক ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অশ্রুসজল চোখে পলাশের মা বলেন, সে আমার একমাত্র সন্তান। আমি তাকে অনেক চেষ্টা করেছি মানুষের মতো মানুষ করতে। আমি আর পারছি না। আমার সন্তানকে আপনারা নিয়ে যান। তাকে সংশোধন করে আমার বুকে তাকে ফেরত দেবেন।
এসআই বারেক বলেন, পলাশকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখনও তার মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করছিলো এবং তার দেহ তল্লাশির পর ৪ পুরিয়া গাঁজা পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বিচারকার্য শেষে পুলিশকে আদেশ দেন পলাশকে জেলা কারাগারে পাঠানোর জন্য। গতকালই তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।