মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে রীতি অনুযায়ী বিজয়ী দলের অধিনায়কের হাতে আইসিসির সভাপতিরই ট্রফি তুলে দেয়ার কথা থাকলেও সেই নিয়ম ভেঙে ট্রফি দিলেন চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন।
এদিকে গতকাল রোববার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনাল খেলায় ভিআইপি গ্যালারিতে উপস্থিত থাকলেও দর্শকের আসনে বসে থাকতে হয় আইসিসি সভাপতি আ.হ.ম মোস্তফা কামালকে। খেলা শেষে তিনি স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে আইসিসির রাখা সভাপতির গাড়িতেও ওঠেননি। অনেকটা হেঁটে হেঁটেই ফিরেছেন হোটেলে। এ সময় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আইসিসি সভাপতি বলেন, তিনি শিগগির আইসিসির দুষ্টুচক্রের চক্রান্ত ফাঁস করে দেবেন।
তিনি বলেন, আইসিসিকে যারা নষ্ট করছে, শিগগির তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। গত শনিবার আইসিসির অনানুষ্ঠানিক এক সভায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আইসিসি সভাপতি কামালের ট্রফি দেয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলে সভায় তোপের মুখে পড়েন আইসিসির সভাপতি। কোলকাতার এক পত্রিকা জানায়, ওই সভায় কামালকে কোণঠাসা করে শ্রীনিবাসনকে ট্রফি তুলে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। কামালের প্রতিবাদেও কোনো কাজ হয়নি। পত্রিকাটি জানায়, ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ট্রফিতে হাত ছোঁয়াচ্ছেন আইপিএল কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়া শ্রীনিবাসন। আইসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতিরই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার এ টুর্নামেন্টের ট্রফি তুলে দেয়ার কথা।
জগমোহন ডালমিয়ার মেয়াদ (১৯৯৭-২০০০) থেকে বিজয়ী অধিনায়কের হাতে আইসিসি সভাপতির ট্রফি তুলে দেয়ার রীতি চালু হয়। তবে আইসিসি তিন মোড়লের কব্জায় চলে যাওয়ার পর গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে চেয়ারম্যান পদ তৈরি করে তাকেই সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়; সভাপতির পদ হয়ে যায় আলঙ্কারিক।
বাংলাদেশ-ভারত মেলবোর্নের কোয়ার্টার-ফাইনালে বিতর্কিত আম্পায়ারিঙের পর আইসিসির কড়া সমালোচনা করেন কামাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এখন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরই নামান্তর বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনে পদত্যাগ করার কথাও জানান তিনি।