মাথাভাঙ্গা মনিটর: সর্বশেষ তিনি পাকিস্তান দলে খেলেছেন ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। ২ বছর ধরে তিনি পাকিস্তান দলে নেই। ওয়ানডের অভিজ্ঞতাও খুব বেশি নেই। খেলেছেন মাত্র ১৪ ম্যাচ। সুযোগ পাননি পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলেও। সেই আজহার আলীই কিনা পাকিস্তান ওয়ানডে দলের সম্ভাব্য অধিনায়ক? এখনো চূড়ান্ত কিছু নয়, তবে দৌড়ে নাকি এগিয়ে তিনিই!
আজহার অবশ্য নিয়মিতই পারফর্ম করছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সর্বশেষ নয় ম্যাচে করেছেন দুই সেঞ্চুরি, তিন ফিফটি। বিশ্বকাপ দলে তাকে না নেয়ায় সমালোচনা করেছিলেন জাভেদ মিঁয়াদাদও। ওয়ানডেতে ব্রাত্য হলেও টেস্টে অবশ্য নিয়মিত। ৩৯ টেস্টে ৭ সেঞ্চুরি, ১৮ ফিফটিতে রান করেছেন ২৮৫১।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আজহারই কেন এগিয়ে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দৌড়ে? অধিনায়ক হিসেবে আজহারের নাম নতুন নয়। ২০১০ সালেও একবার সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে শোনা গিয়েছিলো তার নাম। মজার ব্যাপার ওই বছর টেস্টে অভিষেক হয়েছিলো তার। কিন্তু অভিজ্ঞতার কারণে তখনকার পিসিবি চেয়ারম্যান ইজাজ বাট অধিনায়ক হিসেবে মিসবাহ-উল-হককে নির্বাচিত করেছিলেন।
আজহারকে ভীষণ পছন্দ সদ্য বিদায়ী মিসবাহ ও বর্তমান কোচ ওয়াকার ইউনিসের। আজহারকে নিরাপদ পছন্দ ভাবছেন দুজনই। তা ছাড়া মিসবাহর খেলার ধরনের সাথে আজহারের অনেক মিল। সতীর্থ ও বোর্ডের সাথে সম্পর্কও বেশ ভালো। ঘরোয়া ক্রিকেটে আজহারের অধিনায়কত্বও প্রশংসনীয়। তার অধিনায়কত্বে দল ৩৪ ম্যাচে জিতেছে ১৬ টিতে। যেটি কিনা পাকিস্তান ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ড। আজহার সত্যি অধিনায়ক হবেন কি-না, জানা যেতে পারে আগামী সোমবার। ওইদিন নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করতে পারে পিসিবি।