স্টাফ রিপোর্টার: তখনো হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেননি। সবে বলেছেন, ধৈর্য ধরুন, ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। কে শোনে কার কথা। তড়িঘড়ি করে মধ্যবয়সী নারী বিউটির দেহ আড়কোলা করে তুলে দ্রুত হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়েছে তার সাথে থাকা লোকজন। দৃশ্য দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এহসানুল হক হতবাক হয়ে বললেন, মানুষ কতোটা পাষাণ না হলে এমনটি করে!
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুর জোয়ার্দ্দারপাড়ার নাসির উদ্দীনের স্ত্রী দু সন্তানের জননী বিউটিকে (৪০) গতরাত পোনে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সাথে থাকা লোকজন জানান, রাত ১১টার দিকে বিউটি বিষপান করেছে। কতর্ব্যরত চিকিৎসক সহকর্মীদের সাথে নিয়ে চিকিৎসা দেন। পাকস্থলি পরিষ্কারের পর নেয়া হয় ওয়ার্ডে। রোগীর অবস্থা ক্রমশ অবনতির দিকে যায়। ডাকা হয় চিকিৎসক। চিকিৎসক উপস্থিত হয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রোগীর নাড়ি দেখতে শুরু করেন। অপরদিকে রোগীর সাথে থাকা লোকজন মৃতপ্রায় অথবা মৃত বিউটির দেহ আড়কোলা করে তুলে নিয়ে যায় হাসপাতালের বাইরে। তোলেন করিমনে। দ্রুত হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করে তারা। চিকিৎসক বলেন, মারা গেছেন কি-না নিশ্চিত হওয়ার আগেই নিথর দেহ নিয়ে ওরা যেভাবে টানাহেঁচড়া করে সরে পড়লো তা দেখে হতবাকই হতে হয়।
বিউটি খাতুন দু সন্তানের জননী বলে জানা গেছে। স্বামী নাসির উদ্দীন ডাক্তারের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিলো বিউটি খাতুনের। এরই জের ধরে বিউটি বিষপান করেছে বলে জানিয়েছেন তার সাথে থাকা লোকজন।