স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কৃষি বিপণন ব্যবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও বিকল্প চ্যানেল প্রতিষ্ঠায় অ্যাসেম্বল সেন্টারের ভূমিকা শীর্ষক আঞ্চলিক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওয়তায় কুষ্টিয়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করেন। এ সময় কর্মকর্তারা জানান, মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে চুয়াডাঙ্গায় একটি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করা হবে।
ওয়ার্কশপ শুরুর আগে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত চুয়াডাঙ্গা কৃষি বিপণন ভবন উদ্বোধন করা হয়। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় ফিতে কেটে দিনব্যাপি ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক যুগ্মসচিব মো. মাহবুব আহমেদ।
মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক যুগ্মসচিব মো. মাহবুব আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক মীর এনামুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপপ্রকল্প পরিচালক দেওয়ান আসরাফুল হোসেন। প্রশিক্ষক ছিলেন ডিএইর জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ। ওয়ার্কসপে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান ও জেলা মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি যুগ্মসচিব মো. মাহবুব আহমেদ বলেন, ৪৪ বছরে কৃষিতে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর দেশের অন্যতম শস্যভাণ্ডার। এখানকার কৃষকদের শস্যের ভালো দাম পেতে হলে ভালো মান নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, সরকার কৃষকদের গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কোন কোন ফসল চাহিদা বেশি পরিবেশ বান্ধব তেমন চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এর ফলে কৃষকরা উপকৃত হবে। ফল ও শাকসবজি কেমিকেল মুক্ত রাখতে হবে। ওয়ার্কশপে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার কৃষক, কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী এবং কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।