নাটকীয় জয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে কিউরা। এর আগে ছয়বার সেমিফাইনালে খেললেও ফাইনালে ওঠা হয়নি। শেষ পর্যন্ত সপ্তম প্রচেষ্টায় সফল নিউজিল্যান্ড। রোমাঞ্চ আর নাটকীয়তায় ভরা প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ২৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ম উইকেট জুটিতে ইলিয়ট ও কোরি এন্ডারসন দলের পক্ষে সংগ্রহ করেন গুরুত্বপূর্ণ ১০৩ রান। এন্ডারসন ৫৮ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেও ক্রিজে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন গ্র্যান্ট এলিয়ট (৮৪*)। সপ্তম ওভারে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে ফিরিয়ে দেন মর্নে মরকেল। ডেল স্টেইনের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাককালাম। পরের ওভারে উইলিয়ামসনকেও বিদায় করেন মরকেল। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ রান করেন উইলিয়ামসন। ১৮তম ওভারে ফিরে যান মার্টিন গাপটিল। গত ম্যাচে দ্বিশতক করা এ ব্যাটসম্যান রানআউট হওয়ার আগে করেন ৩৪ রান। ২২তম ওভাবের জেপি ডুমিনির বলে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরে যান রস টেইলর (৩০)।

সপ্তম ওভারে মর্নে মর্কেলের বলে ডেল স্টেইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ম্যাককালাম যখন সাজঘরে ফেরেন তখন তার বিধ্বংসী ব্যাট থেকে ২৬ বলে আসে ৫৯ রান। এরপর ৯ম ওভারে মর্নে মর্কেলের পরের শিকর হন ক্যান উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ৬ রানে বোল্ড হন তিনি। এর আগে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৪৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে ডেভিড মিলারের ১৮ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ব্যাটিঙে এ স্কোর করে প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি আইনে ৫০ ওভারের খেলা কমেছে ৭ ওভার। জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে ৪৩ ওভারে ২৯৮ রান। গতকাল মঙ্গলবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩১ রানে শুরুতেই উদ্বোধনী দু ব্যাটসম্যানকে হারায় প্রোটিয়ারা। চতুর্থ ওভারেই আঘাত হানেন ট্রেন্ট বোল্ট। তার বলে বোল্ড হয়ে যান হাশিম আমলা (১০)। পরের ওভারে কুইন্টন ডি কককে (১৪) টিম সাউদির ক্যাচে পরিণত করেন বোল্ট। এরপর ডু প্লেসিস ও রাইলি রুশোর সাবধানী ব্যাটিঙে চাপ সামলায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৮৩ রান। ২৭তম ওভারে কোরি আন্ডারসনের শট বলে লেগ স্লিপে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন রাইলি রুশো। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আউট হন তিনি।

এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ছিলো ২১৬। অথচ নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণমূলক বোলিং ও ফিল্ডিঙে ২৭ ওভারে ১১৪ রানে ৩ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মাঝের ১১ ওভারে ১০২ রানের জুটি গড়েন ভিলিয়াস-ডুপ্লেসিস। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। এতে ৫০ ওভার থেকে ৭ ওভার কমিয়ে খেলা হয় ৪৩ ওভার।