অকালেই ঝরে গেলেন পপি খাতুন : আড়ালে অপচিকিৎসা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের গবরগাড়ার বধূ পপি খাতুন (২৭) অপচিকিৎসায় অকালেই ঝরে গেলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে যখন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয় তখন তিনি মৃত। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ফিরিয়ে নেয়া হয়।

পপি খাতুন অকালেই মারা গেলেন কেন? স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বক্তব্য, কিছুদিন আগে ভয় পেয়েছিলো। সেই থেকেই রক্তশূন্যতায় ভুগতে থাকে। স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট থেকে চিকিৎসা নেয়া হয়। অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। এরই মাঝে গতকাল নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের সাথে পপি খাতুনের বিয়ে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। এতেই দুর্বল হতে থাকেন পপি। পরিবারের লোকজন বলে, ভয় পাওয়ার পপির রক্তশূন্যতা শুরু হয়। স্থানীয় ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলো না তাকে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, অপচিকিৎসায় শেষ পর্যন্ত পপির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। আড়ালে অন্য কিছু লুকিয়ে থাকতে পারে।