ঢামেকে এখনও মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ২৮ জন

স্টাফ রিপোর্টার: ট্রাকচালক ইমরান। পেট্রোলবোমায় তার শরীরের ৯৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। ২২ মার্চ মধ্যরাতে ইমরানসহ পেট্রোলবোমায় দগ্ধ আরও ৮ জন ঢামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন। ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চরম সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন ইমরানসহ বাকি ৫ জন। স্বামীর (ইমরান) পাশেই থাকছেন স্ত্রী জাকিয়া বেগম। সাথে ৩ বছরের শিশু লামিম। অন্যদিকে ইমরান জ্ঞানহারা অবস্থায় ঘুমিয়ে। পুরো শরীরে ব্যান্ডেজ, শুধু মুখখানি খোলা।

মাগুরা মুগিরঢাল এলাকায় ২১ মার্চ রাতে ৯ বালু শ্রমিক পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হন। যাদের মধ্যে ৬ জন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। ভর্তি ৬ জনের মধ্যে ইয়াদুলকে আইসিইউতে ভর্তি করা হলেও বাকিদের ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আইসিইউতে পর্যাপ্ত সিট নেই। তবে বাকি রোগীদের আইসিইউর সমপরিমাণ সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ট্রাকড্রাইভার ইমরানের স্ত্রী জাকিয়া জানান, মাগুরায় ট্রাকে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ ৯ জন একে অপরের আত্মীয়। একই গ্রামে সবার বাড়ি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ২৮ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি ছিলেন। যাদের মধ্যে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ দুজন আইসিইউতে রয়েছে। আইসিইউতে আরও রোগী ভর্তি থাকায় সিট খালি নেই জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, সিট খালি হলেই পেট্রোলবোমায় দগ্ধ আরও ৪-৫ জনকে ভেতরে নেয়া হবে। এ পর্যন্ত পেট্রোলবোমায় দগ্ধ ১৮১ জন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মাগুরা থেকে আসা ৯ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রত্যেকেরই ৫০ থেকে ৯৬ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। বর্তমানে ভর্তি পেট্রোলবোমায় দগ্ধ রোগীদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। তিনি বলেন, যেসব রোগী কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন তাদের অনেকেই পুনরায় এসে ভর্তি হচ্ছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন।