বিএনপি হরতাল-অবরোধ বহাল রেখে নির্বাচনে গেলে জনমত তাদের বিপক্ষে যাবে

নেতিকবাচক প্রভাব পড়বে ভোটে : আন্দোলন স্থগিত রেখে সরকারকে সময় দেয়া যেতে পারে

 

স্টাফ রিপোর্টার: একদিকে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বহাল- এমন দ্বৈতনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপিই। এ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক মহল। তারা মনে করেন, এভাবে আন্দোলন ও নির্বাচন একসাথে চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ যারা দিচ্ছেন তারা বিএনপিকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বরং এরকম যুগপৎ কর্মসূচি বহাল থাকলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিয়ে জ্বালাও-পোড়াও ও পেট্রোলবোমা সন্ত্রাস বাড়িয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে নানামুখি ক্ষতির শিকার হবে বিএনপি। এতে ভবিষ্যত জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের ওপর পড়বে নেতিবাচক প্রভাব। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, বিএনপির জন্য এ নির্বাচন এক অর্থে আর্শীবাদ। জ্বালাও-পোড়াও করার বদনামের অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য হবে নিরাপদ পথ। এ অবস্থায় বিএনপির উচিত হবে, তাদের দাবি মেনে নিতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সরকারকে আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা। ফলে আত্মগোপনে থাকা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসার যেমন সুযোগ পাবে, তেমনি দ্রুততম সময়ে বিএনপি রাজপথে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারবে। এ রকম একটি ইতিবাচক অবস্থায় ২০ দলীয় জোটের সর্বশক্তি বিনিয়োগ করে বিএনপি সিটি নির্বাচনে লড়াই করার পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করবে। বিদ্যমান রাজনৈতিক গুমোট পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষও এমন স্বস্তির পরিবেশ দ্রুত প্রত্যাশা করে। পর্যবেক্ষকরা আরও মনে করেন, সার্বিক বিবেচনায় বিএনপি রাজনীতির মাঠের সহজ এই বলটি ক্যাস ধরতে পারলে সৌভাগ্যক্রমে তিন সিটির সব কটিতেই বিজয় ছিনিয়ে আনার রেকর্ড গড়তেও পারে। শেষ পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এমন নজির স্থাপিত হলে পরবর্তীকালে মাঠের আন্দোলনে বিএনপিসহ বিশদলীয় জোট আরও শক্তিশালী হয়ে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বিএনপির এই দ্বৈতনীতিকে লুফে নেবে ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচনী মাঠে বিএনপিবিরোধী প্রচারণায় এটিকে সহজেই কাজে লাগাবেন সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা। তারা ভোটের রাজনীতিতে বাড়তি সুবিধা নিতে জনগণকে বোঝাতে চাইবেন, ‘বিএনপি একদিকে আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও-সহিংসতা চালাচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মারছে। জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে। অন্যদিকে আবার ভোট চাইছে। তাই তাদের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেয়া যৌক্তিক হবে না।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে- এমন তথ্য বিভিন্ন মিডিয়ার কাছে ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন দলটির শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা। এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের বেশ কজন জনপ্রতিনিধি। তারা প্রায় একই সুরে বলেন, যেহেতু তারা নির্বাচনে যাচ্ছে, তাই এখনই তাদের আন্দোলন স্থগিত করে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ শুরু করা উচিত। এক্ষেত্রে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের পদক্ষেপের ব্যাপারে জানতে চাইতে পারে বিএনপি। প্রয়োজনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এ সংক্রান্ত দাবি-দাওয়াও দিতে পারে।

উল্লেখ্য, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট প্রায় আড়াই মাস যাবত লাগাতার অবরোধ ও থেমে থেমে হরতাল কর্মসূচি পালন করছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দেশের অন্যতম শীর্ষ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক রোববার বলেন, বিএনপি যেদিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে, সেদিনই তাদের আন্দোলন স্থগিত রাখারও ঘোষণা দিতে হবে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনে যেতে পারে। কিন্তু আন্দোলন এবং নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে না। তিনি বলেন, একদিকে হরতাল-অবরোধ দিয়ে জনগণকে জিম্মি করে রাখবো। আবার নির্বাচনও করবো। এ দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে। বিএনপির উচিত হবে আন্দোলন স্থগিত রেখে নির্বাচনে যাওয়া।

দেশের আরেক শীর্ষ আইনজীবী, সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি হরতাল-অবরোধ বহাল রেখে নির্বাচনে গেলে জনমত তাদের বিপক্ষে যাবে। শুধু তাই নয়- হরতাল-অবরোধকে ঘিরে সৃষ্ট সংঘাত-সহিংসতার দায়ও তাদের ওপর বর্তাবে।

বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, নির্বাচন নিশ্চয়ই রাজনীতির একটি ইতিবাচক দিক। নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করলে হরতাল-অবরোধ সম্পূর্ণভাবে উঠে যাবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংকট এবং অস্থিরতার জন্য কম-বেশি দুই বড় দলই দায়ী। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে উভয় দলকেই বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্বাচন ইস্যুতে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে সবার আগে নির্বাচন কমিশনকে শক্ত হাতে নিরপেক্ষভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

বিএনপির একই সাথে আন্দোলন এবং নির্বাচনের নীতি সম্পর্কে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান রোববার বলেন, এতে করে ভোটারদের মনে অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হবে। যার প্রভাব পড়বে নির্বাচনের ফলে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রোববার বলেন, চলমান রাজনৈতিক অচালবস্থার মধ্যে প্রয়োজন ছিল একটি জানালা খুলে দেয়া। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সেই জানালা খুলে দিয়েছে। যার সুযোগ নিয়ে বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে, যা নিঃসন্দেহে একটি ভালো পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় সরকার নমনীয় হলে, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে বিএনপি আন্দোলন স্থগিত রেখে নির্বাচনমুখী হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকেও দমনপীড়নের পথ পরিহার করতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, আন্দোলনের অংশই হচ্ছে নির্বাচন। জনগণের ক্ষমতায়ন, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচনে অংশ না নেয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলে তা নিশ্চয়ই রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হবে। এক্ষেত্রে তারা হরতাল-অবরোধও অব্যাহত রাখবে কিনা- সে বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপি একটি বড় দল। নিশ্চয়ই সব দিক বিবেচনায় নিয়েই তারা তাদের পথে এগোবে।

এ প্রসঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, হরতাল-অবরোধ, ভয়-ভীতি নির্বাচনের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিএনপিকে এ বিষয়টি বুঝতে হবে। একইভাবে খুন-গুম-অপহরণ-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও নির্বাচনের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সরকারকেও এটি বুঝতে হবে। এছাড়া কালো টাকার খেলা, পেশিশক্তির দাপট, প্রশাসনিক কারসাজি এবং সাম্প্রদায়িক প্রচারণা নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে বড় বাধা। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে এসব বাধা দূর করতে হবে।

রাজনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রায় সবার মতে, সামগ্রিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আপাতত বিএনপির উচিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিকে পুরোমাত্রায় মনোযোগী হওয়া। এক্ষেত্রে তারা দাবি আদায়ে সরকারকে একটি আলটিমেটাম দিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন পর্যন্ত হরতাল-অবরোধসহ চলমান আন্দোলন স্থগিত করতে পারে। ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হলেও এর সুফল যাবে বিএনপির ঘরে। হারলেও সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি-অনিয়মসহ নানা অভিযোগ উত্থাপন করে তারা নিতে পারে বাড়তি ফায়দা।

তাদের মতে, হরতাল-অবরোধসহ আন্দোলনের কর্মসূচি বহাল রেখে বিএনপি নির্বাচনে গেলে তাদের নেতাকর্মীরাও নির্বাচনী লড়াইয়ে সর্বশক্তি নিয়োগ করে মাঠে নামতে পারবে না। আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিকরা তাদের প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। আর এমনটি হলে বিএনপির নেতাকর্মীদের আগের মতোই পালিয়ে বেড়াতে হবে। তখন আÍগোপনে থেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এমনটি হলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামতে না পারলে তাদের প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে। নির্বাচনের পাশাপাশি আন্দোলন অব্যাহত থাকলে আগুন, জ্বালাও-পোড়াও, সংঘাত-সহিংসতাও আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। ভোটের রাজনীতিতে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলতেই তৃতীয় কোনো পক্ষ সুযোগ নেবে। বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের পরও সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটছে। শনিবার রাতে মাগুরায় বালুবাহী ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলা ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর পূর্তির দিন থেকে অর্থাৎ গত ৫ জানুয়ারি থেকে হরতাল অবরোধ দিয়ে টানা আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৩ জানুয়ারি রাত থেকে গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। আন্দোলন চলাকালে এ পর্যন্ত ১৫৬ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে পেট্রলবোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৬৮ জন। ক্রসফায়ার, গুলিবিদ্ধ, গণপিটুনি ও ট্রাকচাপায় বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন ৬৩ জন। গুম হয়েছেন ৩৬ জন। নিখোঁজ রয়েছেন ১৮ জন। পঙ্গু হয়েছেন ৫০ জন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বিএনপির টানা হরতাল-অবরোধ জনমনে তেমন কোনো সাড়া ফেলতে পারেনি। বিএনপিও এ আন্দোলন থেকে এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো সুফল ঘরে তুলতে পারেনি। হরতাল-অবরোধকে ঘিরে প্রথম দিকে জনমনে ভয়-ভীতি এবং আতঙ্ক বিরাজ করলেও দিন দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। হরতাল-অবরোধ মানুষের জীবনে এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরাও বিষয়টি উপলব্ধি করছেন। কিন্তু ‘রাজনৈতিক পরাজয়’ হবে- এমন আশঙ্কায় আন্দোলন স্থগিত করতে পারছে না তারা।

শীর্ষ রাজনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতে, টানা আন্দোলনের নামে ভুল পথে হাঁটছে বিএনপি। মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করার কারণে দিন দিন তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। চলমান আন্দোলনে অর্জনের চাইতে ক্ষতিই হয়েছে তাদের বেশি। অনেকের মতে, একটি ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে আছে বিএনপি। এখান থেকে তাদের উঠতে হলে এবং রাজনীতির স্বাভাবিক পথে ফিরে আসার সবচেয়ে ভালো উপলক্ষ হচ্ছে- আপাতত সরকারকে সময় দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন রোববার বলেন, বিএনপি হুট করে আন্দোলন শুরু করেনি। তারা সরকারকে এক বছর সময় দিয়েছে। কিন্তু সরকারি দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং সব দলের অংশগ্রহণে নতুন নির্বাচন দিতে টালবাহানা করায়, তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে থাকায় বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে গেছে। এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য সরকার কৌশলের আশ্রয় নিয়ে তড়িঘড়ি করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ভাবছে। সেক্ষেত্রে আরও অনেক বিষয় ভেবে দেখা হবে। নির্বাচনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দলের নীতিনির্ধারকরা নিশ্চয়ই হরতাল-অবরোধ শিথিল করার কথা ভাববেন। তবে এখনই সে সময় আসেনি। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় ও জনমুখী রাজনৈতিক দল। জনগণের ক্ষতি হয় এমন কিছু নিশ্চয়ই এই দল করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সরকারের সব ধরনের দমনপীড়ন এবং ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে বিএনপি।