হাসেম রেজা: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি বুইচিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। পরিত্যক্ত ঘোষণার কয়েক বছর অতিক্রম হলেও সংস্কার করা হয়নি ভবন। ফলে শিক্ষার্থীদের আকাশের নিচে গাছতলায় ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনের বারান্দাতেই ক্লাস করতে হচ্ছে। এতে আতঙ্কে দিনে দিনে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমছে। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
সরেজমিন দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার ৫৫ নং কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের বুইচিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৩৬ সালে। বর্তমানে স্কুলের ছাত্রছাত্রী ২৫০ জন। শ্রেণিকক্ষ আছে ৩টি। তার মধ্যে ১টি রুমে টিনশেড দিয়ে পানি পড়ায় ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না। পাঠদানের জন্য কমপক্ষে ৬টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন। বেঞ্চ আছে ২০ জোড়া। বাকি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বারান্দায় নিয়ে পাঠদান পরিচালনা করে থাকেন শিক্ষকবৃন্দ। এদিকে ভবন নির্মাণ করার ৫০ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় ভবনটি দুর্বল হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দু বছর আগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে জানান। তখন থেকে বিদ্যালয়ে জীবনের ভয়ে পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস বাদ দিয়ে স্কুল মাঠের আকাশের নিচে কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে এলেও গত দু বছর ভবন নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সন্তানদের ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলের ক্লাসে পাঠিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরা। এজন্য দ্রুত বিষয়টির সমাধান চান তারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলের সভাপতি আলী আহম্মদ জানান, যে ভবনগুলোতে বর্তমানে পাঠদান করা হয়, সে ভবনগুলো ভেঙে পড়ে যেকোনো সময় একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে কারণে দু বছর আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরজাহান বলেন, নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেছি নতুন ভবন হলেই পরিত্যক্ত ভবনটি আমরা বিক্রির জন্য টেন্ডার দেবো।