গাংনী প্রতিনিধি: প্রায় ২৪ ঘণ্টা অনশনের পর অবশেষে জয়ী হলেন প্রেমিকা মুক্তি খাতুন (১৪)। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হলেন প্রেমিক একরামুল হক। গতকাল রোববার রাতে এক লাখ টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছিলো মুক্তি খাতুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে জানা গেছে, বাহাগুন্দা গ্রামের এলাহী শেখের ছেলে একরামুল একই গ্রামের মক্কর আলীর মেয়ে মুক্তি খাতুনের সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলে বছর তিনেক আগে। মুক্তি খাতুনের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিক একরামুল তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিছুদিন আগে মুক্তি খাতুনের অন্যত্র বিয়ে হয়। কিন্তু একরামুলের বিয়ের আশ্বাসে সে স্বামীকে ত্যাগ করে। পিতার বাড়িতে অবস্থাকালে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। তবে বিয়ে করতে দেরি করায় মুক্তির মনে সন্দেহের দানা বাধে। টালবাহানার এক পর্যায়ে অনশনের পথ বেছে নেয় মুক্তি।
এদিকে প্রেমিকার অনশনের খবর পেয়ে আত্মগোপন করেন একরামুল। খবর পেয়ে গ্রামবাসী ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক মানুষের ঢল নামে মুক্তিকে এক নজর দেখার জন্য। চাপের মধ্যে পড়েন একরামুলের পরিবার। শেষ পর্যন্ত গ্রামের কিছু মানুষের মধ্যস্থতায় বিয়েতে রাজি হন একরামুল। গত রাত নয়টার দিকে ইসলামনগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম হুজুরের বাড়িতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। রাতেই নবদম্পতিকে আনা হয় বরের বাড়িতে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।