চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গোয়েন্দা পুলিশের আকস্মিক অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকার ৫ দালালকে ধরে আদালতে সোপর্দ করা হয় গতকাল। আদালতে ৫ জনই দোষ স্বীকার করে এ ধরনের কাজ আর করবে না বলে জানালে বিজ্ঞ আদালত অর্থদণ্ডাদেশ দেন। জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে ৫ জনই মুক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দিন-রাত সমান তালেই ঘুর ঘুর করে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিযুক্ত প্রতিনিধি। এরা দালাল হিসেবেই পরিচিত। রোগী পেলেই নানাভাবে ফুঁসলিয়ে ও প্রলোভনে ফেলে তাদের ভাগিয়ে নিয়ে হাতিয়ে নেয় কমিশন। দীর্ঘদিন ধরে এসব দালালদের উৎপাতে সরলসোজা রোগী সাধারণ প্রতারিত হয়ে আসছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করে। পরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃরা হলো- চুয়াডাঙ্গা হকপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে রামেদুল হক সাহেদ, থানা কাউন্সিলপাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সালমান, সাতগাড়ির ইউনুসুর রহমানের ছেলে নাহিদ, বাগানপাড়ার সাব্বির ও বেলগাছি ঈদগাপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে আরিফ। পুলিশের অভিযোগ, এরা সদর হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে সরলসোজা রোগীদের নিয়ে যায় বিভিন্ন ক্লিনিকে বা ডায়াগনস্টিকে। কমিশনের বিনিময়ে এরা রোগীদের প্রলোভনে ফেলে।
৫ জনকেই আদালতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ বলেছে, পুলিশ আইনের ৩৪ (৬) ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হলে ৫ জনই দোষ স্বীকার করে। ফলে আইনানুযায়ী বিজ্ঞ আদালত অর্থদণ্ডাদেশ দেন। জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ৫ জনই মুক্ত হয়।
৫ দালাল ধরে আদাতে সোপর্দ : অর্থদণ্ড
