আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার পারকুলা আনন্দ বাজারের খান বস্ত্রালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজারসহ গ্রামে চলছে টানটান উত্তেজনা। গত ১৭ মার্চ রাত ১২টার দিকে খান বস্ত্রালয়ে বাইসাইকেলের স্পোকে কাপড়ের টুকরো জড়িয়ে কেরোসিন তেল দিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দোকানের শাটারের নিচ দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের অপচেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নৈশপ্রহরী বিষয়টি টের পাওয়ায় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় খান বস্ত্রালয়সহ ওই মার্কেটের কয়েকটি দোকান।
নৈশপ্রহরী পলান জানান, আলমডাঙ্গা পারকুলা আনন্দ বাজারে আমরা দুজন পাহারা দিই। ওই রাতে আমি খান বস্ত্রালয়ের সামনে থেকে ঘুরে গিয়ে হেলালের চায়ের দোকানে সিনেমা দেখতে বসি। সিনেমার মধ্যবিরতি দিলে আমার সঙ্গী পাহারাদার একই গ্রামের ঝড়ু মণ্ডলের ছেলে হানেফকে বলি আমি আর একবার ঘুরে আসি। তারপর মসজিদের সামনে থেকে লাইট মারলে হঠাৎ দেখি পার্শ্ববর্তী দোকান মালিক আবু হোসেন টানপায়ে হেটে খান বস্ত্রালয় সামনে থেকে তার বাড়িতে ঘুকে পড়ে। এসময় আমি দ্রুত হেটে এসে দেখি দোকানের ভিতর আগুন জ্বলছে। চিৎকার করলে চায়ের দোকানসহ আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন ছুটে আসে বাবুকে দ্রুত ডেকে নিয়ে এসে দোকান খুলে আগুন নেভানো হয়। দোকান আগুন লাগানোর ঘটনায় দোষী হিসেবে পাহারাদার পলানসহ এলাকাবাসীর নজর আবু হোসেনের দিকেই। পরদিন ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় এ ঘটনা নিয়ে বাজারে সালিস বসলেও কোনো সমাধান হয়নি। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে গ্রামবাসীর মধ্যে টানটান উত্তেজনা।
উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গার পারকুলা গ্রামের আনন্দ বাজারে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ খানের ছেলে নাসির উদ্দীন বাবু খানের খান বস্ত্রালয় নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অন্য দিনের মতো গত মঙ্গলবার রাতে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। রাত ১২টার দিকে ওই বাজারের নৈশপ্রহরী পলান আলী খান বস্ত্রালয়ে আগুন জ্বলতে দেখেন। তিনি দোকানমালিকসহ সকলকে ডেকে দ্রুত আগুন নেভান।