পাকিস্তানে ১২ জনের ফাঁসি কার্যকর

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানজুড়ে বিভিন্ন শহরে অন্ততপক্ষে ১২ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তবে মুলতানে এক ফাঁসির আসামির মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। মুলতানে একজন, করাচিতে দুজন, রাওয়ালপিণ্ডিতে দুজন, ফয়সালাবাদে একজন, গুজরানওয়ালায় একজন, ঝং শহরে তিনজন, মিনওয়ালিতে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মুলতান কেন্দ্রীয় কারাগারে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা ছিলো। কিন্তু অভিযোগকারীদের সাথে এক আসামির আত্মীয়স্বজনের সমঝোতা হওয়ার কারণে তার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়। অপর আসামির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এদের একজনকে ডাকাতির সময় খুনের অভিযোগে ও অপর জনকে ছয় বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ১৯৯৬ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিলো। করাচিতে ডাকাতির সময় খুনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পানি নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে দু আত্মীয়কে হত্যার দায়ে ফয়সালাবাদে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। নিজের বাবা, দু বোন ও এক বোনপোকে হত্যার দায়ে রাওয়ালপিণ্ডিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপরদিকে নিজের চাচাতো বোনকে খুনের দায়ে এখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরও একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পারিবারিক ঝগড়ার সময় নিজের এক আত্মীয়কে গুলি করে হত্যার দায়ে গুজরানওয়ালায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর একজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ডাকাতিকালে এক ট্যাক্সিচালককে খুনের দায়ে ঝংয়ে দুই ব্যক্তি ও পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে এক আত্মীয়কে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর একজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এছাড়া মিনওয়ালিতে অপর দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সাত বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করার পর থেকে পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ৩৯ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে।