স্টাফ রিপোর্টার: পরিস্থিতি যেমনই হোক প্রতিটি দলকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ীই দল সাজানো উচিত, বেশিরভাগ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এমনটিই মনে করেন। তাই স্পিন নির্ভর দল বাংলাদেশকে তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজাতে দেখে মৃদু গুঞ্জন উঠেছিলো। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেই ফিসফাস বন্ধ হতে বেশি সময় লাগেনি। মাশরাফি, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদে গড়া বাংলাদেশের পেস আক্রমণ ঠিকই নজর কেড়েছে।দেশে থাকতেই তাসকিন বলেছিলেন, বিশ্বকাপে আলোচনায় আসতে চান তিনি। লক্ষ্য পূরণ হয়েছে তার। অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নেয়া তরুণ বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের পেস বোলিংকে নতুন করে পরিচয় করে দিয়েছেন। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশসেরা পেসার মাশরাফি। তবে প্রশংসার কিছুই নিজে নিচ্ছেন না, পেস বোলিংয়ে ভালোর পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন দু সঙ্গী রুবেল ও তাসকিনকে। অধিনায়কের বিশ্বাস, রুবেল, তাসকিন তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো বল করতে পারলে বিশ্বকাপে অনেক দূর যাবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পরই আলোচনায় আসেন মাশরাফি-রুবেল-তাসকিন ত্রয়ী। মাশরাফির নতুন করে প্রমাণের কিছু নেই। কিন্তু পেস বোলিং ইউনিট হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার ছিল তাদের। বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিন বোলিং। তাই একরকম অবহেলিতই থাকেন পেসাররা। মাত্র এক জন পেসার নিয়ে খেলার উদাহরণও আছে কয়েকটি। ম্যাচে পুরো ১০ ওভার বল করার সুযোগও অনেক সময় পান না পেসাররা। যতটা দুর্বল ভাবা হয় বাংলাদেশে পেস বোলিং ততোটা দুর্বল নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া ম্যাচে পেসারদের সাফল্যের পর তাই ক্ষোভ ঝরে মাশরাফির কণ্ঠে। বলতে হচ্ছে বলে দুঃখিত, অনেকে আমাদের পেস বোলিং নিয়ে খুব আজেবাজে কথা বলেন। আমরা জানি, আমরা কি; আমাদের সামর্থ্য কতটা। আমার মনে হয়, এখন আমাদের পেসার প্রতি সম্মান জানানোর সময় এসেছে।
এবারের আসরে বাংলাদেশের তিন পেসার সব মিলিয়ে নেন ১৯ উইকেট। ৬টি করে উইকেট নেন মাশরাফি ও তাসকিন। ৭টি উইকেট নেন রুবেল। এ তিন জনের মধ্যে চার ম্যাচ খেলা মাশরাফি ওভার প্রতি সবচেয়ে কম রান (৪.৮৯) দেন। বাংলাদেশের নিয়মিত বোলারদের মধ্যে একমাত্র তিনিই ওভার প্রতি ৫ এর কম রান দেন। ওভার প্রতি রান একটু বেশিই দেন তাসকিন। ওভার প্রতি ৬.২৪ করে রান দেন তিনি। আর রুবেল ওভার প্রতি দেন ৫.৯৭ রান।