রাশিয়ায় বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ৪৫ হাজারেরও বেশি সেনা, যুদ্ধবিমান এবং সাবমেরিন নিয়ে দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলজুড়ে সোমবার সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকার এ সময়ে এ মহড়াই ক্রেমলিনের সবচেয়ে বড় শক্তি প্রদর্শন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নৌবাহিনীর নর্দার্ন ফ্লিটকে আর্কটিক অঞ্চলে পূর্ণ যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেশী নেটো সদস্য দেশ নরওয়ের সামরিক মহড়ার পাল্টা জবাবেই পুতিন এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, সামরিক নিরাপত্তায় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং হুমকির মুখে সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা আরো বাড়ানো প্রয়োজন। পুতিন এ নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে শোইগু বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে তিনি (পুতিন) এ দশকের শেষ নাগাদ ৩৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নেটো সদস্যদেশ নরওয়ে সম্প্রতি আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়া সীমান্তের কাছে ফিনমার্ক কাউন্টিতে ৫ হাজার সেনা নিয়ে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় আছে দু দেশই। রাশিয়ার মহড়ায় ৪০ হাজার সেনাসদস্যসহ ৪১টি যুদ্ধজাহাজ এবং ১৫টি সাবমেরিন অংশ নিচ্ছে। ইউক্রেইন সঙ্কটকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো বাহিনীর পূর্ব ইউরোপে সামরিক উপস্থিতি জোরদারের পরিকল্পনার সময়টিতেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাশিয়ার এ মহড়া।