চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসার ছাত্রকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে খুন

ওয়াজ মাহফিল থেকে উঠিয়ে নিয়ে মিরাজুলের পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি : কোর্টচাদপুরের ভুট্টাক্ষেতে নৃশংসতা

 

স্টাফ রিপোর্টার/কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসার ছাত্র মিরাজুল ইসলামকে কোর্টচাঁদপুরে অপহরণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। মুক্তিপণের ১ লাখ টাকা দিতে না পারায় তাকে খুন করা হয়। গতকাল সোমবার তার বাড়ির পাশের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মিরাজুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে গতরাত ৯টায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শিশু মিরাজুলকে জবাই করে খুনের পর তার মুখের চামড়া ছাড়িয়ে নেয় বলে লাশ দেখে মন্তব্য করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের মোহর আলীর একমাত্র ছেলে মিরাজুল ইসলাম (১০) চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি দালুম উলুম মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে গত বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে বাড়ি কোটচাঁদপুরের ভোমরাডাঙ্গায় যায়। শনিবার রাতে গ্রামে সে ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। সেখান থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। রোববার সকালে মোবাইলফোনে মিরাজুলের পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে তাকে নির্মমভাবে খুন করা হবে বলে অপহরণকারীরা হুমকি দেয়। এরপর থেকেই অপহরক তার মোবাবাইলফেন বন্ধ করে রাখে। অবশেষে গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে মিরাজুলের বাড়ির কয়েকশ গজ দূরের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে অত্যন্ত নির্মমভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। গতকালই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে মিরাজুলের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতরাত ৯টায় নিজ গ্রামে তার লাশ দাফন করা হয়। বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি মুস্তাফা কামাল কাসেমী জানান, আমরা ছাত্র-শিক্ষক মিলে তার জানাজায় শরিক হয়েছিলাম।