চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

খাইরুজ্জামান সেতু: চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শিশু একাডেমী হলরুমে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ক, খ, গ, ঘ চারটি গ্রুপে ৬০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এ গ্রুপে অংশগ্রহণ করে ১৮ জন প্রতিযোগী। ক গ্রুপে ১ম হয়েছে প্রদীপন বিদ্যাপীঠের স্ট্যান্ডার্ড টু’র নওশিন তাবাসসুম, ২য় হয়েছে একই স্কুলের একই ক্লাসের লামিয়া হামিদ পূর্ণতা, ৩য় হয়েছে কয়রাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির আয়িশা নূর। খ গ্রুপে ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। এ গ্রুপে অংশগ্রহণ করে ২০ জন প্রতিযোগী। খ গ্রুপে ১ম হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী আছমা খাতুন, ২য় হয়েছে একই স্কুলের একই ক্লাসের জান্নাতুল ফেরদৌস, ৩য় হয়েছে একই স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী মাছুরা রহমান মিম নূর। গ গ্রুপে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। এ গ্রুপে অংশগ্রহণ করে ১৫ জন প্রতিযোগী। গ গ্রুপে ১ম হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরাকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির সোহানা আক্তার জিম, ২য় হয়েছে একই স্কুলের ৭ম শ্রেণির আজরা আজম, ৩য় হয়েছে ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির আল করিম বিশ্বাস। ঘ বিভাগে শিশু একাডেমীর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এ গ্রুপে অংশগ্রহণ করে ৫ জন প্রতিযোগী। ঘ গ্রুপে ১ম হয়েছে আল সামিয়া বিশ্বাস, ২য় হয়েছে ওয়াসিমহক ফাহিম, ৩য় হয়েছে মাইমুনা মাহানূর।

এদিকে শিশু একাডেমীর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পৌর এলাকার বাইরে স্কুলে অংশগ্রহণের জন্য চিঠি না দেয়ায় স্কুল প্রধানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েটি পৌর এলাকার বাইরের স্কুলপ্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের কখনও কোনো প্রতিযোগিতার জন্য শিশু একাডেমী চিঠি দিয়ে বা মৌখিকভাবেও জানায় না। খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, কোনো চিঠিই পায়নি। কি বা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাই অংশ্রগহণের কি বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ্রগহণের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কোনো চিঠি পায়নি। মাখালডাঙ্গা-দীননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও অভিন্ন কথা জানান। সরোজগঞ্জের শিশু নিকেতন বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক জানান, বছর ২-৩ বছর আগে একবার পেয়েছিলাম তারপর থেকে আর চিঠি পায়নি। শুধু তাই-ই নয় সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে এমন প্রতিযোগিতায় যারা শিশু একাডেমীর অধীনে যে সমস্ত প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তাদের ছাড়া অন্য কাউকে অংশগ্রহণের জন্য বলা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের।

এ বিয়ে চুয়াডাঙ্গা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা ফেরদৌসী জানান, এটা মূলত জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠান। আমরা এখানে শুধু ভেন্যু করেছি। তারপর আমি পৌর এলাকার ভেতরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।

Leave a comment