স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা এবং জেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দু ঘণ্টাব্যপি চলা এ সভার সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন। দিনের আলোচ্যসূচিতে থাকা জেলা অপরাধ অবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, অপরাধ দমনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহ প্রদান, যৌনহয়রানি বন্ধে মিডিয়া এবং নারী ও শিশু অধিকার কর্মীদের সমন্বয়ে আলোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা এবং কয়েকটি বিষয়ে নেয়া হয় সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবনা।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে গৃহিত কর্মসূচি ও বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান এবং বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক আনোয়ার জাহিদ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় নতিপোতা এবং নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সব ধরনেণের অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ। বৈঠকর আলোচনায় উঠে আসা অবৈধ নসিমন-আলমসাধু চলাচলের বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে গত দু মাস অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তা থেকে আবারও মহাসড়কে চলা অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোচনায় আরও অংশ নেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, সিভিল সার্জন আজিজুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল, ৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ। বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, ব্যবসায়ী, পরিবহন নেতৃবৃন্দও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পেশিশক্তি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম ধরা পড়লে নেয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি এবং সন্ত্রাস নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের দেয়া বিভিন্ন প্রস্তাব ও আলোচনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বাজারে গরু-খাসির মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে ইতঃপূর্বে ৬ বিজিবি কর্তৃক ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রির যে প্রক্রিয়া চালু ছিলো তা পুনরায় শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। এছাড়া সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার এবং পুলিশ বাহিনীকে বিভিন্ন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও তদন্তের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন।
সভায় দেশের অন্য যেকোনো স্থানের তূলনায় চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দেয়া হয়। একই সময়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি তাদের মাসিক প্রতিবেদন দাখিল করেন।