অরিন্দম চুয়াডাঙ্গার চতুর্দশ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আলাউদ্দীন সভাপতি ও আব্দুস সালাম সৈকত সম্পাদক

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘বাঙালি সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশ চাই’ স্লোগানকে ধারণ করে চুয়াডাঙ্গা অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন চতুর্দশ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপি সংগঠনের নবীন-প্রবীণ কর্মী ও চুয়াডাঙ্গার অন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে ওঠে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে সাথে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঝিনুক বিদ্যাপীঠের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুকুল ফৌজ চুয়াডাঙ্গা শাখার সম্পাদিকা রাশিদা হাসনু-আরা বেলু ও গঠনের পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মোমিন টিপু। উদ্বোধনের পরপরই শিল্পকলা একাডেমী চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্রীমন্ত টাউন হলে এসে শেষ হয়। পরে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনাসভার শুরুতেই বিগত দু বছরে শিল্প-সাহিত্য জগতের যে সকল বরেণ্য ব্যক্তিগণ পরলোকগমন করেছেন তাদের এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মানবতার মুক্তি আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শোকপ্রস্তাব আনা হয় এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মোমিন টিপুর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সৈকত, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মো. আলাউদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহাঙ্গীর আলম মান্নান, চুয়াডাঙ্গা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক হাবিবি জহির রায়হান, সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন নাট্য সম্পাদক বজলুর রহমান শায়ক।

বক্তাগণ তাদের আলোচনায় উল্লেখ করেন সংস্কৃতিকর্মীরা সকল সময় দেশের সঙ্কটে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। দেশের মানুষ যদি সাংস্কৃতিক মুক্তি পায় তাহলে সত্যি সত্যি দেশ মুক্তি পাবে। এজন্য স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অরিন্দমের সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে মো. আলাউদ্দীনকে সভাপতি ও আব্দুস সালাম সৈকত সম্পাদক করে আগামী দু বছরের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ইয়াকুব আলী জোয়ার্দ্দার, আতিকুজ্জামান সবুজ, মেহেদী হাসান, সেলিমুল হাবিব, বজলুর রহমান শায়ক, হারুন-অর রশিদ, আব্দুল মোমিন টিপু, আলাউদ্দিন উমর, ইউনুস আলী শাওন, আব্দুল মান্নান, বুলবুলি খাতুন ও আয়ুব আলী। নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।