চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন
জাকির মুনসাদ: সন্তান প্রসবের বারো ঘণ্টার মাথায় মারা গেলেন প্রসূতি মা। রুনা খাতুন নামের প্রসূতির রেখে যাওয়া ১ দিনের ফুটফুটে পুত্রসন্তান কে দেখবে, কোথায় পাবে সে মায়ের আদর-সোহাগ? রুনা খাতুনের মৃতদেহ গতকাল দাফনের সময় প্রশ্নই সবার মাঝে বড় হয়ে দেখা দেয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে খয়েরহুদার বায়েজিত হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুনা খাতুনের (১৯) প্রসব-বেদনা দেখা দিলে গতপরশু হাসপাতালে নেয়া হয়। বুধবার বিকেলে ফুটফুটে সন্তান প্রসব করেন রুনা খাতুন। সন্তান প্রসবের পর অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণে ক্রমশ মৃত্যু দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। রক্তশূন্যতা কাটিয়ে তুলতে তার শরীরে রক্ত দেয়ার পরামর্শ দেন। পরশু রাতে এক ব্যাগ রক্তও দেয়া হয়। এরপরও প্রসূতি মা রুনাকে বাঁচানো যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে মারা গেছেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু নিয়ে নানামুখি প্রশ্ন দানা বাধলেও প্রসূতির নিকটজনেরা তেমন অভিযোগ উত্থাপন করেনি। কেউ কেউ বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গাইনি কনসালটেন্টকে পাওয়া যায় নির্দিষ্টি সময়ে। তিনি হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকেন না। জরুরি প্রয়োজনেরও পাওয়া যায় না। এসব অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলে না বলেই অভিযোগও এখন আর কেউ করতে চান না। বিষয়টির দিকে সিভিল সার্জনের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া দরকার।