স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাটের মংলায় সেনাকল্যাণ সংস্থার নির্মাণাধীন ভবন ধসে হতাহত হয়েছে বহু। এর মধ্যে গতরাতে শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক। নির্মাণাধীন ওই ভবনে ১৮০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। জীবিত উদ্ধার শ্রমিকদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধসে পড়া অংশের নিচে আরও বহু শ্রমিক আটকে পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনা কল্যাণ সংস্থা পরিচালিত এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ছাদ ঢালাইয়ের সময় হঠাৎ করে ছাদটি ধসে পড়ে। শ্রমিকদের আর্তচিৎকারে আশপাশের শ্রমিক ও স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসে। এরপর পর্যায়ক্রমে উদ্ধারকাজে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেলেও তাদের মধ্যে আমীর আলী, মাহাফুজ হাওলাদার, আল আমিন ও মারুফ- এ চারজন শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা শ্রমিক জহুরুল বলেন, নির্মাণাধীন ফ্যাক্টরির মাত্র দশ গজ দূরে আমি পাথর ভরছিলাম। দুপুর তখন সাড়ে ১২টা কি পৌনে ১টা। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলো ৭০-৮০ জন শ্রমিক। হঠাৎ করে দেখতে পাই ছাদটি ধসে পড়ে। তখন আমরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে আশপাশের শ্রমিকদের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসতে বলি। এরপর সহকর্মীদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভবনের নিচ থেকে অর্ধশত ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিলো।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহ আলম সরদার ও পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা জানান, দুপুর একটার দিকে ঢালাইয়ের জন্য শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিলো। এ সময় হঠাত্ চারতলার ছাদ ধসে পড়ে ঘটনাস্থলেই দু শ্রমিক নিহত ও অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত আরো ৩ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মারুফ শেখ, আমির আকুঞ্জি, আলামিন ও মাহফুজ হাওলাদার। আহতদের মধ্যে মশিউর রহমান, মিজান, ইমদাদ কবিরাজ, আজাদ, সাহেব আলী, আলামিনসহ ২০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।