মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভুটানকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ‘বাজে’ ফুটবল দল। ২০০০ সালে ফিফার সদস্যপদ পাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত যাদের সম্বল সাকল্যে তিনটি জয়। ফিফা ৱ্যাঙ্কিঙে সবশেষ স্থানে থাকা দল (২০৯) এ ভুটানই কিনা কাঁপিয়ে দিলো সবাইকে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তারা দেখেছে স্বপ্নময় অভিষেক। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ভুটান সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে ফুটবল উন্নয়নের পেছনে তারা উঠেপড়েই লেগেছে।
কলম্বোর উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় খেলাটাই যেখানে হিমালয় রাজ্য ভুটানি খেলোয়াড়দের জন্য কষ্টকর, সেখানে স্বাগতিক কোনো দেশকে হারানোটা নিশ্চয়ই হালকা করে দেখার কোনো বিষয় নয়। লক্ষ্য স্থির রেখে সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য ঝাঁপিয়ে যে ফল পাওয়া যায়, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভুটান আজ সেটাই প্রমাণ করেছে। কলম্বোর সুগাথাদাসা স্টেডিয়ামে হাজার পাঁচেক লঙ্কান সমর্থককে হতভম্ব করে দিয়ে ভুটানের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন শেরিং দরজি। খেলার ৮১ মিনিটে একটি প্রতি-আক্রমণ থেকে তিনি স্তব্ধ করে দেন লঙ্কান ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র এ সুগাথাদাসা স্টেডিয়ামের গ্যালারি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দু লেগের ম্যাচের প্রথমটি আজ খেললো ভুটান। পরের লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৭ মার্চ থিম্পুতে। কলম্বোর ম্যাচটিকে সামনে রেখে ভুটান প্রস্তুত হয়েছিলো আঁটঘাট বেঁধেই। থাইল্যান্ডে অনুশীলন ক্যাম্প করে দিনের পর দিন ঘাম ঝরিয়েছেন তারা। গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতে সেই পরিশ্রমেরই মধুর ফলটা হাতেহাতেই পেয়ে গেলেন ভুটানের ফুটবলাররা।
ম্যাচ শেষে দারুণ উচ্ছ্বসিত ভুটানের কোচ চোকি নিমা বলেছেন, অনেক কষ্টের ফসল এ জয়। আশাকরি এ জয়ের ধারা আমরা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে পারব। ম্যাচটা জিতে আমি যে কতোটা খুশি, সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।’