চুয়াডাঙ্গার পৃথক স্থানে তিনটি দুর্ঘটনায় আহত দু শিশুসহ ৫

বাসাইকেলের সাথে ধাক্কা মেরে আহত তমাল মৃত্যুশয্যায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: তিন বছর বয়সী ছোট বোনকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে বাইসাইকেলের সাথে ধাক্কা মেরে আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে সোহরাব হোসেন তমাল (২১)। ছোট বোন কৌশিকা ও বাইসাইকেল আরোহী স্কুলছাত্র আতিকুর রহমান নামের অপর এক কিশোরও আহত হয়েছে। আহত তিনজনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া পৃথক দুর্ঘটনায় টেইপুরের এক বৃদ্ধ ও বিষ্ণপুরের এক শিশু আহত হয়েছে।

                জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় মাদরাসাপাড়ার শহিদুর রহমানের ছেলে সোহরাব হোসেন হাতের কাছে মোটরসাইকেল পেয়ে ছোট ভাই শিশু কৌশিকাকে সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। ভোকেশনালের নিকট পৌছুলে বিপরীতমুখি বাসাইকেল আরোহী দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ার জাহিদুল ইসলাম ডাক্তারের ছেলে আতিকুর রহমান আকাশের (১৫) সাথে ধাক্কা মারে। তিনজনই আছড়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। আকাশ পড়ার জন্য বাইসাইকেল নিয়ে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তার শয্যাপাশে থাকা লোকজন এ তথ্য জানিয়েছে। সোহরাব হোসেন তমালকে গতরাতেই বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। এদের স্থায়ী ঠিকানা বগুড়ার শাহাজানপুর। পিতার চাকরির সুবাদে তমলার দৌলাতদিয়াড় মাদরাসা পাড়ায় বসবাস করে।

অপরদিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ভালাইপুর মোড়ের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নবীছদ্দিন নামের ৭৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তিনি টেইপুরের বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে আলমসাধুর ধাক্কায় দামুড়হুদা বিষ্ণপুর উত্তরপাড়ার সুমনের ৫ বছর বয়সী কন্যা রূপালী খাতুনের একটি পা গুঁড়িয়ে গেছে। গতকাল সকালে বাড়ির অদূরে রাস্তার ধারে এ ঘটনা ঘটে।