খাইরুজ্জামান সেতু: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরি প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ২৩ ও ২৪ মার্চ মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়নের ১০টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা ২৪ মার্চ। একটি চাকরির বিপরীতে একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পকেটস্থ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে নানামুখি গুঞ্জন। আবার কোন কোন বিদ্যালয়ে কার চাকরি হচ্ছে সে সব নাম শোনা যাচ্ছে জোরেসোরে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরে ২১টি বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের বিপরীতে আবেদনপত্র জমা পড়ে ১৩১টি। গতকাল বুধবার আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করেন নিয়োগ কমিটির সদস্যরা। যাচাই-বাছাই শেষে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩টি বিদ্যালয়সহ আলুকদিয়া, কুতুবপুর, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ৮টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া, কোটালী, ডিহিকৃষ্ণপুর ও রাঙ্গিয়ারপোতা বিদ্যালয়, তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা, গহেরপুর, বাটিকাডাঙ্গা, গিরীশনগর, কালুপোল ও তেঘরি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার একটি বিদ্যালয়ের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইকালে একটি বাদে বাকিদের আবেদনপত্র বাদ পড়ায় সেখানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
এদিকে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে, এ দুটি ইউনিয়নের ১০টি বিদ্যালয়ে একজন করে নিয়োগপ্রাপ্ত হবে। তাই স্থানীয় একাধিক নেতারা চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকা লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ করলে চাকরি হবে না বলেও শাসিয়ে রেখেছে সে সব নেতারা। ফলে জমি জায়গা এবং গরু- ছাগল বিক্রি করে চাকরির জন্য টাকা লেনদেন করলেও চাকরি না পাওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের আলোচিত কয়েকজন নেতার নাম জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি দপ্তরি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ছিলো আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদস্যসচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সদস্য হিসেবে একজন এমপি প্রতিনিধি, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রাধান শিক্ষক। অর্থ লেনদেনের বিষয়ে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের ১০টি বিদ্যালয়ের এমপির প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।