স্টাফ রিপোর্টার: ওরা বহিরাগত। বোরকা পরে মাঝে মাঝেই চুয়াডাঙ্গায় আসে। খদ্দের সেজে কখনো হাতিয়ে নেয় সোনার গয়না, কখনো কৌশলে শাড়ি-কাপড় চুরি করে সটকে পড়ে। গতকালও এসেছিলো বহিরাগত ৪ মহিলা চোর। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ হাসান চত্বরের মোহন বস্ত্রালয় থেকে থ্রি-পিসের একটি বান্ডিল চুরি করে পালিয়েছে।
বোরকা পরা মহিলা চোর সম্পর্কে জানতে গিয়ে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৪ মহিলা চোর গতকাল চুয়াডাঙ্গা স্টেশন এলাকার একটি হোটেলে এক সাথে খাবার খায়। কেউ খায় মাছ দিয়ে, কেউ খায় মাংস দিয়ে। সাড়ে ১১টার দিকে খাবার খেয়ে রিকশাযোগে পৌঁছায় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারে। এরপরই মোহন বস্ত্রালয়ে প্রবেশ করে এক মহিলা। শাড়ি-কাপড়, থ্রি-পিস দেখার সময় আরো দুজন মহিলা দোকানে প্রবেশ করে। পাশেই বসে। প্রথমে প্রবেশ করা মহিলা শাড়ির আড়ালে থ্রি-পিসের বান্ডিলটা কৌশলে পাশের মহিলাকে দেয়। মহিলা সুযোগ বুঝে সটকে পড়ে বাইরে অপেক্ষায় থাকা মহিলার হাতে তুলে দেয়। তারপর? এরপরের খবর অবশ্য জানা সম্ভব হয়নি। পালিয়েছে।
মহিলা চোরচক্র সম্পর্কে তথ্য জানতে স্টেশন এলাকায় গেলে সঙ্ঘবদ্ধ মহিলাদের সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন, ওদের পুঁজি মূলত বোরকা। বোরকার আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে রেখে চুরির সুযোগ নেয়। চুরির সময় দোকানিকে এতোটাই ব্যস্ত করে তোলে যে, খদ্দের সেজে বসে থাকা সঙ্ঘবদ্ধ মহিলা চোর কি করছে তা বোঝাই দায় হয়ে দাঁড়ায়। মোহন বস্ত্রালয়ের সিসি ক্যামেরায় চুরির দৃশ্য ধরা পড়লেও চোর পালানোর পর তা দোকানির নজরে পড়ে। তখন চোর অনেক দূরে। চোর পালানোর পর দোকানির বুদ্ধি বাড়লেও বাড়ি ফেরা চোরচক্রকে কি আদৌ ধরা যাবে? চোর ধরার বুদ্ধি অবশ্য এখনও মাথায় আসেনি। চুরি হওয়া থ্রি-পিসের বান্ডিলের মূল্য আনুমানিক ৮ হাজার টাকা।