স্টাফ রিপোর্টার: ইংরেজিতে কথা বলা এবং ইংরেজি কথোপকথন শুনে তা বোঝার দক্ষতা যাচাইয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ নম্বর নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষেই ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এ নিয়ম কার্যকর হবে বলে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন। অর্থাৎ এ বছরই ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা শোনা ও বলার দক্ষতা যাচাইয়ে ১০ করে মোট ২০ নম্বরের পরীক্ষায় বসতে হবে। শিক্ষাসচিব বুধবার বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থীই প্রয়োজনীয় কথাবার্তা ইংরেজিতে বলতে পারে না। অন্যের কথাও বুঝতে পারে না। কিন্তু ব্যবহারিক জীবনে এটা জানা জরুরি। তাদের দক্ষতা বাড়াতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরবর্তীতে জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি পরীক্ষাতেও এ পদ্ধতি কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি। ইংরেজিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলোকে নিজস্ব অর্থায়নে অডিও ডিভাইসের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যসূচির জন্য ৩৬টি লিসেনিং টেক্সট জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বলে শিক্ষাসচিব জানান। তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষে কম্পিউটার বা মোবাইলফোনের সাথে অডিও ডিভাইস ব্যবহার করে লিসেনিং টেক্সটের পাঠ দেয়া হবে। এজন্য মোবাইলফোনে শোনার উপযোগী করেই অডিও কনটেন্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. এনামুল কাদের খান জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসব অডিও কনটেন্ট তৈরির কাজ করছে। কনটেন্টগুলো এনসিটিবি (www.nctb.gov.bd) এবং শিক্ষক বাতায়নের (www.teachers.gov.bd) ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তা ডাউনলোড করে ব্যবহার করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় দেশের ২০ হাজার ৫০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও একটি করে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ করার উদ্যোগ রয়েছে।