গাংনী পল্লী বিদ্যুত অফিসে ঘুষ ছাড়া চলে না ফাইল : দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধের পদক্ষেপ

গাংনী প্রতিনিধি: তেল ছাড়া যেমন গাড়ি চলে না, তেমনি ঘুষ ছাড়া ফাইল এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে যায় না। এ ঘুষের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সামর্থ্য না থাকায় বছরের পর বছর ধরে অফিসের বারান্দায় ঘুরছেন মিটার প্রত্যাশী গ্রাহকরা। আর টাকার বিনিময়ে অনেকের সহজেই মিলছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের মিটার। তবে ঘুষ-বাণিজ্য ও হয়রানি আর চলবে না বলে ঘোষণা দিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি গাংনী জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় ওই ঘোষণা দিয়ে বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। এর পরেও যদি কেউ ঘুষ কিংবা গ্রাহক হয়রানির সাথে জড়িত থাকেন তাহলে তার দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বৃতি দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলেও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত পৌছে দিতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী কিছু দালালের সহায়তায় এ অফিসটাকে ঘুষের রাজ্যে পরিণত করেছে। সম্প্রতি দু হাজার ৪শ মিটার ঘুষ-বাণিজ্যের মধ্যদিয়ে লাগানো হয়েছে। ঘুষ দিতে না পারায় দীর্ঘদিন ধরে অনেক গ্রাহকের মিটার দেয়া হয়নি।

গাংনী জোনাল অফিসের ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) আবু আনাস মো. নাসের জানান, তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এ অফিসে যোগদান করেছেন। ঘুষ-বাণিজ্য বন্ধ ও গ্রাহক হয়রানির সাথে তার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, আ.লীগ নেতা হাজি মহসিন আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মহিবুর রহমান মিন্টু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল হকসহ নেতৃবৃন্দ।