মরসুমি ফল আম ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত রাখতে সচেতনতামূলক সভা করা হবে

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন বললেন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেছেন, মরসুমি ফল আম ফরমালিন ও কেমিকেল মুক্ত রাখতে প্রতিটি উপজেলা ও প্রয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা করা হবে। বাগান ব্যবসায়ী ও আম বিক্রেতারা আমে ফরমালিন কিংবা কেমিকেল না মেশায় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া হবে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন এসব কথা বলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. হামিম হাসান, সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদুর রহমান, দর্শনা পৌর মেয়র মহিদুল ইসলাম, জীবননগর প্যানেল মেয়র-১ মশিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রহমত আলী বিশ্বাস, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, তথ্য কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক ও প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দিনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় নাগরিকদের সুবিধার জন্য দুধের হাট করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে জেলা প্রাণিসম্পদ সম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে পল্লি বিদ্যুত সমিতির গ্রাহকদের বিদ্যুত বিল পরিশোধে জেলা প্রশাসকের সাথে চুক্তি হলেও দীর্ঘদিনে তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে পল্লি বিদ্যুত সমিতিকে এ বিষয়টিকে দ্রুত নজর দিতে বলা হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরিচালিত প্রতিবন্ধিদের জন্য বিনা খরচে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা গ্রহণে সকলকে সচেতন হতে বলা হয়। সরকারি কর্মকর্তারা যখন কোনো এলাকায় যাবেন সেই এলাকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার সম্পর্কে পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। পাসপোর্ট অফিসে দালাল থাকলে জানাতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করা হবে। স্কুল-কলেজের মেয়েরা রাস্তায় চলাচলে অসুবিধা হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সহযোগিতা করলে বখাটেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান বলেন, আমচাষিদের জন্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রশিক্ষণমূলক একটি সভা করা হবে। এছাড়া অ্যাম্বয়ডারি ও বুটিকে আগ্রহীদের জন্য পৃথক আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলম বেনজীর বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে জনগণ তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ করা হয়। কারণ যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে পুলিশের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।