চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে কপোত-কপোতী দেখা করতে গিয়ে গ্যাঁড়াকলে : অবশেষে শ্রীঘরে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর বোয়ালমারীপাড়ায় কপোত-কপোতী বাড়ির পাশে বাগানে দেখা করতে গিয়ে গ্যাঁড়াকলে। বেরসিক জনতার হাতে ধরা পড়ে শ্রীঘরে। ৮ মাসের সম্পর্ক গড়ে তুলে নাবালিকা এখন দু মাসের অন্তঃসত্ত্বা। উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে হিজলগাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে দরকষাকষি চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের সুবদপুর বোয়ালমারীপাড়ার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে হাসনা হেনা পুলিশের নিকট অভিযোগ করে জানায়, একই পাড়ার হাবিবুর ওরফে হবিলের ছেলে মানিক ৮ মাস আগে তার সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমসম্পর্কের এক পর্যায় মানিক হাছনাদের বাড়িতে গিয়ে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয়। জানুয়ারি মাসের দৈহিক মিলনে হাছনা দু মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে জানায়। হাছনা বিষয়টি স্থানীয় এক ডাক্তারের নিকট পরীক্ষা করে পজেটিভ ফলাফল পায়। বিষয়টি মানিক জানার পর থেকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে হাছনাকে চাপ দিতে থাকে। অপরদিকে হাছনা বিয়ের জন্য মানিককে বললে সে বেকে বসে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে মোবাইলফোনে হাছনাকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে ডেকে নেয় মনিক। তারা দুজনে সেখানে কথা বলার একপর্যায় বেরশিক জনগণ তাদের ধরে ফেলে এবং দোস্তের বাজারে নিয়ে এনে একটি ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে হিজলগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই মুহিত রাত ১০টার দিকে মানিক এবং হাছনাকে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। গতরাত সাড়ে ১টা পর্যন্ত ফাঁড়িতে বসে উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালায় প্রশাসনসহ উপস্থিত মাতবররা। এ বিষয়ে এএসআই মুহিত বলেন, সমঝোতা না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a comment