সংলাপেই গণতন্ত্র বিকশিত হয় : বার্নিকাট

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, রাজনৈতিক সংলাপের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে। গণতন্ত্রে মত প্রকাশের অধিকারও নিশ্চিত থাকা প্রয়োজন। গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড ও তার ২০ সহকর্মীর সই করা ঐতিহাসিক ব্লাড টেলিগ্রামেএর মূলকপি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। এ টেলিগ্রামে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যায় তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের নীরবতার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন তারা। একই সাথে পাকিস্তান-ঘেঁষা নীতিরও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। টেলিগ্রামটি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়। রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের কাছ থেকে ব্লাড টেলিগ্রাম গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, রবিউল হুসাইন ও আক্কু চৌধুরী।

ব্লাড টেলিগ্রাম হস্তান্তর করে বার্নিকাট বলেন, বিশেষ উপহার হিসেবে এ টেলিগ্রামের মূলকপি হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি দলিল। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন যে নীতি গ্রহণ করেছিলো পররাষ্ট্র সার্ভিসে কর্মরতরা তার বিপক্ষে ভিন্ন মত তুলে ধরেই এই টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন। টেলিগ্রামটি পররাষ্ট্র সার্ভিসের কর্মকর্তাদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক। ঐতিহাসিক মুহূর্তে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের ভিন্নমত স্পষ্ট করা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ এ টেলিগ্রামের মধ্যদিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতীক। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ জাদুঘর পবিত্র স্থান এবং প্রেরণার উৎস। স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে, জীবন দিয়েছে, এটা গর্বের ইতিহাস।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবেও ঐতিহ্য স্থাপন করেছে। গণতন্ত্র বিকশিত হওয়ার অন্যতম শর্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত থাকা। সংলাপের মধ্য দিয়েই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিকশিত হয়।