অবরোধ-হরতালে চুয়াডাঙ্গায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার: টানা দু মাস অবরোধ ও হরতালে কবলে পড়ে চুয়াডাঙ্গায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। কিছুতেই কমছে না দ্রব্যমূল্যের দাম। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনই প্রশাসনের মাঠে নামা দরকার বলে মত প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

সরকারি বাজার অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠানের হিসাবমতে গত ডিসেম্বর মাসে যে সকল পণ্যের বাজার দর ছিলো তার থেকে বর্তমানে কয়েকটি পণ্য বাদে প্রতিটি দ্রব্যেরই মূল্যে বেড়েছে। বেশি দাম বেড়েছে মুরগি, খাসির মাংস, গরুর মাংস, ডিম, চাল, ময়দা, সয়াবিন তেল, পাম তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ অন্যান্য কয়েকটি পণ্য।

গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তায় দেশি মুরগির দাম ছিলো ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০টাকা কেজি। বয়লার মুরগির দাম ছিলো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। খাসির মাংসের দাম ছিলো ৪০০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬০ টাকা থেকে ৪৮০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের দাম ছিলো ২৬০ টাকা থেকে ২৭০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। ডিমের হালি ছিলো ২৬ টাকা থেকে ২৮ টাকা দরে। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা থেকে ৩২ টাকা হালি। সয়াবিন তেলের দাম ছিলো ৮৬ টাকা লিটার। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯ টাকা লিটার। পাম তেলের দাম ছিলো ৬০ থেকে ৬২ টাকা লিটার। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ থেকে ৬৩ টাকা লিটার। চিনি খুচরা ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের দাম ২৭ টাকা থেকে ২৮ টাকা কেজি এবং মিনিকেট চালের দাম ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার বাসিন্দা সাঈদুজ্জামান গনি বলেন, বাজারে পণ্য সরবরাহ ঠিকমত থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় পণ্য সামগ্রীর কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে রাখে। প্রশাসনকে বাজার তদারকির জন্য এখনই মাঠে নাম দরকার। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, তেল, চিনি ও কৃষি পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে চালের আমদানি ঘাটতি থাকায় চিকন চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রহিম জানান, ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী যাতে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি না করে এ বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামসহ বিভিন্ন পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।