বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ২৯ রানের জয় পেল পাকিস্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে স্বল্প রানের পুঁজিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেলো পাকিস্তান। পাকিস্তানের করা ২২২ যেটি কিনা বৃষ্টি আইনে ২৩২ রানের টার্গেটে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। এ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩.৩ ওভারে ২০২ রানে সব উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। আর ২৯ রানের জয় পায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের উইকেট রক্ষক সরফরাজ ৬টি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ম্যাচ সেরা হন।

ইনিংসের শুরু থেকেই পাকিস্তানি পেস আক্রমণে বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। তারপরও অধিনায়ক এবি ভিলিয়ার্সের একক প্রতিরোধে এক পর্যায়ে জয়ের স্বপ্নও জেগে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। ৩২.২ ওভারে ৮ উইকেটে যখন দলীয় রান ২০০ তখন ব্যক্তিগত ৭৭ রানে সোহায়েল খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হয়ে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৫৮ বলে এ রান করেন ভিলিয়ার্স। এছাড়া আমলা ৩৮, ফাফ ২৭ এবং ডুমিনি ও অ্যাবোট ১২ করে রান করেন। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দু অঙ্কে পৌঁছুতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের জুটি গড়েন হাসিম আমলা ও ফাফ। এছাড়া ডুমিনির সাথে ২৫, স্টেইনের সাথে ৩৬, অ্যাবোটের সাথে ৩৪ ও মরনে মর্কেলের সাথে ২৮ রানের জুটি গড়েন এবি ভিলিয়ার্স। পাকিস্তানের পক্ষে ইরফান, রাহাত আলী ও ওয়াহাব রিয়াজ ৩টি করে উইকেট নেন। তবে এ বি ভিলিয়ার্সের একমাত্র উইকেটটি নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের দুয়ারটি খুলে দেন সোহায়েল খান। সকালে টসে জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান ৪৬.২ বলে ২২২ রানে অলআউট হয়। পাকিস্তানের পক্ষে অধিনায়ক মিসবাহ সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। এছাড়াও ওপেনার সরফরাজ ৪৯ রান করে রান আউটের শিকার হন। আফ্রিদি তার স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে ২টি ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে ১৫ বলে ২২ রান করে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ডেল স্টেইন ১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। এর আগে ৩৭ ওভারের খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি বাধ সাধে। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় ম্যাচ। কিন্তু ৪০.১ ওভারে আবারো নামে অঝোর ধারার বৃষ্টি। পরে ম্যাচ ৪৭ ওভারে নির্ধারিত হয়।