দামুড়হুদার কারিয়াবকরি দোতালা ঘরের দেয়াল প্লাস্টার শেষে মাচা খুলতে গিয়ে বিপত্তি
দামুড়হুদা/নতিপোতা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় বিদ্যুতস্পৃষ্টে মনিরুল (৩৫) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সবুজ (২৫) নামের আরো এক নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালিয়াবকরি গ্রামের মাহাতাব হোসেনের বাড়ির দোতালা ঘরের দেয়াল প্লাস্টার শেষে ব্যবহৃত মাচা খোলার সময় দোতালার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারের সাথে প্লেনসিট ঠেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নির্মাণশ্রমিক মনিরুল পার্শবর্তী মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের আবুল মালিথার ছেলে এবং দামুড়হুদার বোয়ালমারী গ্রামের শামসুল হকের জামাই। বিদ্যুতস্পৃষ্টে আহত অপর নির্মাণ শ্রমিক সবুজ দামুড়হুদা চিৎলা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী নির্মাণশ্রমিক শাহাবুল জানান, আমিসহ মোট ৬ জন গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে কালিয়াবকরি গ্রামের মাহাতাবের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজে যায়। দোতালা ঘরের বাইরের কিছু অংশ প্লাস্টার শেষে মনিরুল ও সবুজ বাঁশের ওপর প্লেনসিট দিয়ে তৈরি মাচা খুলছিলো। এ সময় মাচার ওপরে থাকা প্লেনসিট সরাতে গিয়ে দোতালার পাশ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের সাথে প্লেনসিটটি ঠেকার সাথে সাথে মনিরুলের পুরোদেহ বিদ্যুতায়িত হয়ে যায় এবং ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। প্লেনসিট সরানো কাজে নিয়োজিত অপর নির্মাণশ্রমিক সবুজও বিদ্যুতায়িত হয়। সে প্লেনসিট থেকে কোনোমতে তার দু হাত সরিয়ে নেয় এবং এযাত্রায় সে প্রাণে রক্ষা পেলেও তার দু হাতই পুড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়। এসময় আমি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নিহত মনিরুল ও আহত সবুজকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরুলকে মৃত ঘোষনা করেন এবং আহত সবুজকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। দুপুরে মনিরুলের মৃতদেহ তার শশুর বাড়ি বোয়ালমারি নেয়া হলে মনিরুলের স্ত্রীসহ স্বজনদের কাঁন্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। বাদ আছর জানাজার নামাজ শেষে বোয়ালমারী গ্রামের কবরস্থানে নিহত মনিরুলের লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের আবুল মালিথার ছেলে মনিরুলের সাথে প্রায় ৮ বছর আগে বোয়ালমারী গ্রামের শামসুল ইসলামের মেয়ে মনোয়ারার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দু কন্যা সন্তানের জনক মনিরুল তার শ্বশুরবাড়ি বোয়ালমারিতেই ঘরজামাই থাকতো।