টাকা বেশি দিয়ে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগ তুলে অভয়নগরের কাজিকে মারধর করেছে কতিপয় যুবক

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার জামজামি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজি জহুরুল ইসলামকে মারধর করেছে গ্রামের কতিপয় যুবক। টাকা বেশি করে দিলে বাল্যবিয়ে পড়ায় আর কম দিলে বাল্যবিয়ে পড়ান না তিনি- এ অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়েছে তাকে। পরে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ৬-৭ জনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন তিনি।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক জহুরুল ইসলাম (৩৫) একই সাথে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার। গতকাল শনিবার সকালে তিনি নিজ গ্রাম অভয়নগর থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে গ্রামের কতিপয় যুবক তাকে বেদম মারধর করেছে। এ ব্যাপারে তিনি আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত ৪ জনসহ নির্দিষ্ট করে আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন। হামলার শিকার কাজি জহুরুল ইসলাম দাবি করেছেন তিনি বাল্যবিয়ে পড়াতে রাজি না হওয়ায় তাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামবাসীর অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, প্রায় ১৪-১৫ দিন পূর্বে নিজ গ্রাম অভয়নগর গ্রামের হতদরিদ্র এক কৃষকের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে পড়াতে কাজিকে ডাকলে তিনি বাল্যবিয়ের অজুহাত দেখিয়ে অনেক বেশি টাকা দাবি করেন। চাহিদা মাফিক বেশি টাকা দিতে না পারার কারণে সে বিয়ে পড়াতে কাজি জহুরুল অস্বীকার করেন। অথচ গত শুক্রবার বেশি টাকা নিয়ে তিনি একই গ্রামের আমির হোসেনের ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সম্পার বিয়ে পড়িয়েছেন। এ সংবাদ জানতে পেরে গ্রামের অনেকেই কাজির উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এদের মধ্যে কয়েকজন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কাজিকে কিল-ঘুষি মেরেছে। পরে কাজি জহুরুলকে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

Leave a comment