চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিহন মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

সদস্যদের নীরব বিপ্লবে ঐক্য পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়লাভ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। প্যানেলের ১০ জন প্রার্থীর সকলেই নির্বাচিত হয়ে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনায় সকল সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে আলী রেজা সজল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি অবশ্য যে প্যানেলভুক্ত ছিলেন সে প্যানেলের সকল সদস্যই পরাজিত হয়েছে। নির্বাচিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন একেএম মঈন উদ্দীন মুক্তা। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী আবুল কালাম ছাতা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ ভোট।

সহসভাপতি পদে মুজিবুল হক খোকন ও আলমগীর স্বপন ৪২টি করে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহসভাপতি পদে পরাজিত প্রাথী দুজনের মধ্যে হাজি মো. সাইদুর রহমান ধন্দু ৩৪ ও কাসিদ আলী ৩২ ভোট পেয়েছেন। সহসাধারণ সম্পাদক দুটি পদে আব্দুল হালিম ৪২ ভোট ও মিয়া মো. সোহেল রঞ্জু ৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী দুজনের মধ্যে হাজি মো. আমিনুল ইসলাম ৩৭ ও জাহিদুল ইসলাম ভাষা মিয়া পেয়েছেন ৩৪ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে হাজি মো. আজম খান বিপুল। তিনি পেয়েছেন ৪০ ভোট। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাজি মো. ওসমান আলী পেয়েছেন ৩৪ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মশিউর রহমান বুলু কলস প্রতীক নিয়ে ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন শ্রী কিশোর কুমার কুণ্ডু পেয়েছেন ৩৫ ভোট। প্রচার সম্পাদক পদে মোকলেছুর রহমান মখলেছ গরুর গাড়ি প্রতীক নিয়ে ৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী মো. শেখ সাদী পেয়েছেন ৩৬ ভোট। অবাক হলেও সত্য যে, প্রার্থী নিজের ভোটটি প্রতিবন্ধকতায় দিতে পারেননি। তার কুড়িটি ভোট ছাড়াই তার প্যানেলের নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাকে সমিতির সদস্যদের সাবেক কমটির বিরুদ্ধে নীরব বিপ্লব বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত দুজন হলেন- যথাক্রমে জাফর আলী মল্লিক ও একেএম সালাউদ্দীন মিঠু। জাফর আলী মল্লিক পেয়েছেন ৪১ ভোট এবং একেএম সালাউদ্দীন মিঠু পেয়েছেন ৪০ ভোট। পরাজিত দু প্রার্থী হাজি মো. হাফিজুর রহমান লিটন পেয়েছেন ৩৮ ভোট ও শ্রী পাঁচু গোপাল সাহা পেয়েছেন ৩৩ ভোট।

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে তথা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রবীণ আইনজীবী অ্যাড. আশরাফ আলী বিশ্বাস।