গাংনী প্রতিনিধি: অবশেষে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি গাংনী থানায় রেকর্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে মামলাটি দায়েরের সাথে সাথে গ্রেফতার দেখানো হয় অভিযুক্ত ধর্ষক প্রেমিক রিপন হোসেন (২৬) ও তার বন্ধু সাহেবনগর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে জুয়েল রানাকে (২৫)। গ্রেফতার দুজনকে আদালতে সোপর্দ এবং প্রেমিকার ডাক্তারি পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে। রিপন হোসেন গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের স্কুলশিক্ষক জালাল উদ্দীনের ছেলে। প্রেমিকার বাড়ি পীরতলা গ্রামে। বিয়েতে রিপনের পিতার সম্মতি না থাকায় প্রেমিকা পক্ষ মামলা করেছে বলে জানা গেছে।
বিয়ের প্রলোভনে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে রিপন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের দুজনকে পীরতলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। তাদের বিয়ের লক্ষ্যে দু পক্ষের দীর্ঘ দেনদরবারের পর মীমাংসা ভেস্তে যায়। এতে দুজনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসী। রাতে থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় ধর্ষণ মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন প্রেমিকা। এ সময় রিপনের পরিবার সকাল পর্যন্ত সময় চায়। কিন্তু রাত আড়াইটার দিকে রিপনের পিতা বিয়েতে সম্মত না হওয়ায় প্রেমিকা মামলা দায়ের করেন। রিপনের সহযোগী বন্ধু জুয়েলকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিপন ও জুয়েলকে গতকালই আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আজ শনিবার প্রেমিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।